ভারতে চামড়া পাচার ঠেকাতে বেনাপোল সীমান্তে সতর্কতা জারি

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে সীমান্তের চোরাই পথে অবৈধভাবে ভারতে কোরবানির পশুর চামড়া পাচার ঠেকাতে বেনাপোলের বিভিন্ন সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
আজ বুধবার (৪ জুন) বিকেলে যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল্লাহ সিদ্দিকী এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, গত কয়েক বছরের মতো এবারও পশুর চামড়ার দাম কম। কেনা দামেও ব্যবসায়ীরা চামড়া বিক্রি করতে পারছেন না। সরকারি দামেও সাড়া মেলেনি। সেজন্য বেশি মুনাফার আশায় ভারতে চামড়া পাচার হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
কসাই রফিক মিয়া জানান, পাঁচ মণ ওজনের গরুর চামড়া ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা এবং ১০ মণ ওজনের গরুর চামড়া ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া ছাগলের চামড়ার দাম প্রতি পিস ১০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। অপরদিকে, ভারতের পশ্চিমবঙ্গে পাঁচ মণ ওজনের গরুর চামড়া ৮০০ থেকে এক হাজার রুপি এবং ১০ মণ ওজনের গরুর চামড়া প্রতি পিস এক হাজার ২০০ রুপি পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে বলে শোনা যাচ্ছে।
বেনাপোল লতিফা ইয়াসিন এতিম খানার শিক্ষক মাওলানা আজিজুর রহমান বলেন, এলাকার মানুষ তাদের কোরবানির পশুর চামড়া দান করে থাকেন। কিন্তু এবার চামড়ার দাম খুবই কম।
কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল্লাহ সিদ্দিকী জানান, চামড়া আমাদের দেশের সম্পদ। এই সম্পদ যাতে কোনোভাবেই সীমান্ত দিয়ে অবৈধপথে ভারতে পাচার না হয়, এজন্য বেনাপোলের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় ঈদের দিন সকাল থেকেই বাড়তি নিরাপত্তা ও সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ঈদ উপলক্ষে যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধীনে যেসব বিজিবির পোস্ট ও ক্যাম্প রয়েছে, সেগুলোতে এ বিষয়ে বাড়তি নজরদারি রাখা হয়েছে। এ ছাড়া যেকোনো ধরনের অপরাধ রুখতে বিজিবি সবসময় সীমান্তে সোচ্চার রয়েছে।
বেনাপোলের যেসব সীমান্ত দিয়ে চামড়া পাচার রোধে নিরাপত্তা ও সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে, সেগুলো হলো—বেনাপোল, গাতীপাড়া, সাদিপুর, রঘুনাথপুর, ঘিবা, ধান্যখোলা, কাশিপুর, শিকারপুর, শালকোনা, আন্দুলিয়া, হিজলী, মাসিলা, শাহজাতপুর, বর্ণি, দৌলতপুর, পুটখালী, গোগা, কায়বা, অগ্রভুলোট, পাঁচভূলট ও রুদ্রপুর সীমান্ত।