যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার অর্থনীতিকে সহায়তার উপায় নিয়ে আলোচনা করতে একটি অর্থনৈতিক প্রতিনিধি দল নিয়ে আজ শনিবার (৩১ মে) দামেস্কে পৌঁছেছেন সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান। খবর এএফপির। 

দীর্ঘ প্রায় ১৪ বছরের গৃহযুদ্ধের পর গত ডিসেম্বরে বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করে সিরিয়ায় নতুন অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর সৌদি আরব তাদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক সমর্থক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।

এরই মধ্যে চলতি মাসের শুরুর দিকে রিয়াদ সফরে এসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছিলেন, তিনি সিরিয়ার ওপর থেকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবেন। এই পদক্ষেপ যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের পথ খুলে দেবে বলে মনে করা হচ্ছে।

সিরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, দামেস্ক বিমানবন্দরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদ আল-শাইবানি ‘উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেওয়া’ প্রিন্স ফয়সালকে স্বাগত জানান। সফরকালে প্রিন্স ফয়সালের সিরিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারার সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে। এ ছাড়া সৌদির অর্থনৈতিক প্রতিনিধি দলটি সিরিয়ার কর্মকর্তাদের সঙ্গে ‘সিরিয়ার অর্থনীতিকে সমর্থন ও প্রতিষ্ঠান নির্মাণকে শক্তিশালী করতে অবদান রাখে এমন সহযোগিতার উপায়’ নিয়ে আলোচনা করবে।

গত ফেব্রুয়ারিতে শারা প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার প্রথম বিদেশ সফরে সৌদি আরব গিয়েছিলেন। গত মাসে সৌদি আরব, কাতার ও বর্তমান সরকারের সমর্থকেরা বিশ্বব্যাংকের কাছে সিরিয়ার প্রায় ১৫ মিলিয়ন ডলারের ঋণ পরিশোধের ঘোষণা দিয়েছে।

সিরিয়া আশা করছে, যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে তারা ব্যাপক সমর্থন পাবে। বছরের পর বছর ধরে চলা যুদ্ধ এবং নিষেধাজ্ঞা দেশটির অর্থনীতি, অবকাঠামো ও শিল্পকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।

জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে অনুমান করা হয়েছে, ২০১১-২০২৪ সালের যুদ্ধের সময় সিরিয়ার ‘হারানো জিডিপি’ প্রায় ৮০০ বিলিয়ন ডলার। গত জানুয়ারিতেও সিরিয়ার নতুন সরকারের সঙ্গে দেখা করতে দেশটিতে গিয়েছিলেন প্রিন্স ফয়সাল।