রাজধানীতে জামায়াতের বড় সমাবেশের ঘোষণা

দেশের চলমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট সামনে রেখে রাজধানীতে বড় সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পলায়নের পর এ সমাবেশের চিন্তা করছে জামায়াতের নীতি নির্ধারকরা। আগামী ২১ জুন রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এই জনসভার আয়োজন করবে তারা।
ইতোমধ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাছে অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছে দলটি।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো রাজধানীতে ইতোমধ্যে সমাবেশ করলেও জামায়াতকে এখন পর্যন্ত বড় কোনো সামবেশ আয়োজন করতে দেখা যায়নি। আগামী ডিসেম্বরে নির্বাচন চেয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি সমাবেশ করে গণতন্ত্র রক্ষায় নির্বাচনকে গুরুত্ব দিয়ে আসছিল। অপরদিকে জামায়াতে ইসলামী তাদের অবস্থান পরিষ্কার করবে সমাবেশের মাধ্যমে।
এনটিভি অনলাইনকে আজ শনিবার (৩১) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মিডিয়া ও প্রচার বিভাগের প্রধান এবং সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের।
এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আগামী ২১ জুন বেলা ২টায় রাজধানীতে সমাবেশ করবে। ইতোমধ্যে আয়োজন কমিটির পক্ষ থেকে ডিএমপিতে অনুমতি চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। দুই এক দিনের মধ্যে অনুমতি মিলেই আমরা প্রচার-প্রচারণা শুরু করবো।
এহসানুল মাহবুব জুবায়ের আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানই স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। সমাবেশে জামায়াতের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন। পাশাপাশি সমমনা রাজনৈতিক দলের নেতাদেরকে আমন্ত্রণ জানানো হবে।
এদিকে, জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিলের রায় হবে আগামীকাল রোববার (১ জুন)। আপিল বিভাগের প্রকাশিত কার্যতালিকায় মামলাটি এক নম্বর ক্রমিকে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ রায় দেবেন।
এর আগে গত ২৭ মে আপিল বিভাগের রায়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের সাজা থেকে খালাস পেয়ে ২৮ মে মুক্তি পান দলটির সিনিয়র নেতানেতা এ টি এম আজহারুল ইসলাম। তাৎক্ষণিকভাবে শাহবাগ মোড়ে সমাবেশ করে এ নেতাকে সংবর্ধনা দেয় জামায়াত।