গভীর নিম্নচাপের তীব্রতা কমলেও ৩ নম্বর সংকেত বহাল

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করেছে। পাশাপাশি এর তীব্রতা কমে বর্তমানে স্থল নিম্নচাপ আকারে বিরাজ করছে। এরপরও সমুদ্রবন্দরগুলোতে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত বহাল রেখেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আজ শুক্রবার (৩০ মে) সকালে আবহাওয়ার সামুদ্রিক সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, সাতক্ষীরা ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত গভীর নিম্নচাপটি উত্তর ও উত্তরপূর্ব দিকে সরে গিয়েছে। আজ সকাল ৯টায় সেটি টাঙ্গাইল ও আশপাশের এলাকায় স্থল নিম্নচাপ আকারে অবস্থান করছে।
এটি আরও উত্তর বা উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে বৃষ্টি ঝড়িয়ে ক্রমশ দুর্বল হতে পারে বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি।
এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালার সৃষ্টি হচ্ছে জানিয়ে আবহাওয়া অফিস বলছে, বাংলাদেশের সমুদ্র বন্দরগুলো, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া অব্যাহত থাকতে পারে।
তাই চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
এই সময়ে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
এর আগে, গতকাল বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছিল, গভীর নিম্নচাপটি সাগরদ্বীপ ও খেপুপাড়ার মধ্য দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করেছে। এটি সাতক্ষীরার ওপর দিয়ে আরও উত্তর বা উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হয়ে যেতে পারে।
তবে নিম্নচাপের প্রভাবে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু বরিশাল, চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও রংপুর বিভাগ পর্যন্ত অগ্রসর হয়েছে। ফলে রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো কিংবা হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।