রসে-গন্ধে ভরা বিজয়নগরের লিচু, দেশজুড়ে বাড়ছে কদর

রসালো সুমিষ্ট একটি ফল লিচু। তাই অন্যান্য ফলের তুলনায় এর চাহিদা বহুগুণ বেশি। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সীমান্তবর্তী উপজেলা বিজয়নগর ফলের রাজ্য হিসেবে ইতোমধ্যেই বেশ পরিচিত হয়ে উঠেছে। উপজেলার লাল রঙের ঊর্বর মাটি ও অনুকূল আবহাওয়া লিচু উৎপাদনের জন্য উপযোগী হওয়ায় প্রতি বছরই এখানে বাড়ছে লিচুর আবাদ। স্বাদে ও গুণে অনন্য হওয়ায় এখানকার লিচুর চাহিদা রয়েছে দেশজুড়ে।
তবে চলতি মৌসুমে প্রচণ্ড গরম ও অনাবৃষ্টির কারণে অনেক জায়গায় লিচু ফেটে যাওয়া এবং আকারে ছোট হয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে চাষিদের এই ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে দিতে কৃষি বিভাগ থেকেও দেওয়া হয়েছে সেচ সুবিধা ও প্রয়োজনীয় বিভিন্ন কারিগরি সহায়তা।
সরেজমিনে বিভিন্ন লিচু বাগান ঘুরে দেখা যায়, গাছে গাছে থোকায় থোকায় ঝুলে আছে বোম্বাই, পাটনাই ও চায়না জাতের লিচু। অনেক গাছে লাল টুকটুকে পাকা লিচু বাতাসে দোল খাচ্ছে, আবার কিছু গাছে রয়েছে সবুজাভ আধাপাকা লিচুর ঝাঁক। লিচুর এমন সৌন্দর্য দেখতে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ছুটে আসছেন দর্শনার্থীরা। কেউ শুধু ঘুরতে, কেউবা বাগান থেকেই লিচু কিনে নিয়ে যাচ্ছেন পরিবারের জন্য। অনেকে বাগানেই লিচু খেয়ে উপভোগ করছেন ভিন্ন এক অভিজ্ঞতা।
বিজয়নগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জিয়াউল ইসলাম জানান, এবছর উপজেলায় ৪৪০ হেক্টর জমিতে লিচুর আবাদ হয়েছে। আমরা আশা করছি প্রায় ২০ কোটি টাকার লিচু বিক্রি হবে। মৌসুমের শুরুতে বৃষ্টির ঘাটতি থাকায় কিছু সমস্যা হয়েছিল, তবে এখন বৃষ্টি হওয়ায় তা কাটিয়ে উঠেছি।
কৃষি কর্মকর্তা জিয়াউল ইসলাম আরও জানান, প্রচণ্ড তাপদাহে কিছু এলাকায় লিচু ফেটে গেলেও সার্বিকভাবে ফলন ভালো। কৃষকদের আমরা সেচসহ প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা দিয়েছি। আশা করছি, কৃষকেরা এবারও লাভবান হবেন।