দেড় হাজার কিলোমিটার পথ হেঁটে এবার এভারেস্টচূড়ায় শাকিল
যার লেখায়, কথায় একটি স্বপ্নই খেলে, যেখানে থাকে পাহাড়ের চূড়া, চূড়ার ছায়া-মায়া; তিনি ইকরামুল হাসান শাকিল। কক্সবাজার থেকে প্রায় দেড় হাজার কিলোমিটার পথ হেঁটে পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ এভারেস্টে আজ সোমবার (১৯ মে) উড়িয়েছেন বাংলাদেশের লাল-সবুজ পতাকা।
২০২৩ সালে আলোচনায় আসেন শাকিল। ‘গ্রেট হিমালয়া ট্রেইল’ নামে পরিচিত হিমালয় পর্বতমালার মধ্য দিয়ে সেবার তিনি হেঁটেছিলেন এক হাজার ৭০০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের দুর্গম পথ। যেপথ নেপালের পূর্ব থেকে পশ্চিমে চলে গেছে।
ভারতের নেহরু ইনস্টিটিউট অব মাউন্টেনিয়ারিংয়ে পর্বতারোহণের প্রাথমিক ও উচ্চতর প্রশিক্ষণ নেওয়া এই পর্বতারোহী হিমালয়ের ‘কেয়াজো-রি’, ‘দ্রৌপদী কা ডান্ডা-২’ ও ‘হিমলুং’, ‘ডোলমা খাং’ পর্বতশৃঙ্গেও আরোহণ করেছেন সফলভাবে।

এবার ‘সি টু সামিট’ অর্থাৎ সমুদ্র থেকে শৃঙ্গ নামে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি দুপুর থেকে অভিযানে নামেন শাকিল। কক্সবাজারের ইনানী সমুদ্রসৈকত থেকে এভারেস্টচূড়ার উদ্দেশে হাঁটা শুরু করেন। চট্টগ্রাম, ফেনী, কুমিল্লা হয়ে ঢাকায় পৌঁছানোর পর কয়েক দিন বিরতি দিয়ে ফের হেঁটে মার্চের শেষের দিকে পঞ্চগড়ে পৌঁছান। ২৯ মার্চ প্রবেশ করেন ভারতে। একদিন পর নেপালে পৌঁছান। এভাবে এক হাজার ৪০০ কিলোমিটারের বেশি পথ হেঁটে গত ২৯ এপ্রিল এভারেস্ট বেজক্যাম্পে পৌঁছান ইকরামুল হাসান।
সব মিলিয়ে ৮৩ দিনের মাথায় আজ শাকিলের ফেসবুক পেজে বেলা ২টার পর এক স্ট্যাটাসে জানানো হয়েছে, ‘এইমাত্র খবর পেলাম, শাকিল সামিট করেছে এবং সুস্থ আছে। ক্যাম্প–৪–এ নেমে এসেছে। নেটওয়ার্ক না থাকায় বিস্তারিত তথ্য এখন দেওয়া যাচ্ছে না।’