চাঁদপুরে ২ মাসে জাটকা রক্ষা অভিযানে ৩৯৭ জেলে গ্রেপ্তার

জাটকা সংরক্ষণে গত মার্চ ও এপ্রিল মাসে চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীতে জেলা টাস্কফোর্সের অভিযানে ৩৯৭ জন জেলেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের মধ্যে পাঁচজনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে কারাদণ্ড, ১২৪ জনকে তিন লাখ তিন হাজার ১০ টাকা জরিমানা ও বাকি ২৬৮ জনের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আজ বুধবার (৩০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় চাঁদপুর জেলা মৎস্য দপ্তর ও নৌ পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার কার্যালয় এনটিভি অনলাইনকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।
জেলা মৎস্য বিভাগ জানায়, ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত জাটকা সংরক্ষণে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী পর্যন্ত প্রায় ৭০ কিলোমিটার এলাকায় ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ ছিল। সরকারি এই কর্মসূচি বাস্তবায়নে জেলা ও উপজেলা টাস্কফোর্স এক হাজার ৬৪টি অভিযান পরিচালনা করে।
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অভয়াশ্রম এলাকায় জাটকা ধরার অপরাধে জেলা মৎস্য বিভাগের তত্ত্বাবধানে ১২৯ জন জেলেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এদের মধ্যে ৩৪টি ভ্রাম্যমাণ আদালতে পাঁচজনকে কারাদণ্ড এবং ১২৪ জনকে জরিমানা করেন জেলা প্রশাসন কর্তৃক নিয়োজিত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। অভিযানে ছয় দশমিক ৭৬৬ মেট্রিক টন জাটকা এবং তিন দশমিক ০৫২ মেট্রিক টন অন্যান্য মাছ জব্দ করা হয়। এ ছাড়া ১২ লাখ ৭০৫ মিটার কারেন্ট জাল, ১৩টি বেহুন্দি জাল ও ৩৩৪টি অন্যান্য জাল জব্দ করা হয়। জব্দ করা সরঞ্জাম নিলামে বিক্রি করে এক লাখ ২০ হাজার টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হয়েছে।
নৌ পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ইমতিয়াজ আহমেদ জানান, জাটকা সংরক্ষণ অভিযানের দুই মাসে চাঁদপুর অংশে একটি থানা ও পাঁচটি পুলিশ ফাঁড়ি নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় ৯ কোটি ৯০ লাখ ৩৪ হাজার মিটার কারেন্ট জাল এবং ১৮ মেট্রিক টন জাটকা জব্দ করা হয়। একই সময়ে মাছ ধরার ১২৩টি নৌযান জব্দ এবং ২৬৮ জন জেলেকে গ্রেপ্তার করা হয়, যাদের বিরুদ্ধে ১১১টি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. গোলাম মেহেদী হাসান বলেন, জাতীয় সম্পদ ইলিশের উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে মার্চ-এপ্রিল দুই মাস জাটকা রক্ষায় অভয়াশ্রম এলাকায় কঠোর অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। যেসব জেলে আইন অমান্য করেছে, তাদের আইনের আওতায় আনা হয়েছে। আশা করা যায়, এই কঠোর অবস্থানের সুফল জেলার ৪৩ হাজার জেলে পাবে।