সাবেক দুই এমপি-আইজিপিসহ ৪ জন রিমান্ডে

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সংঘটিত পৃথক তিনটি মামলায় ঝিনাইদহ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) নবী নেওয়াজ, ভোলা-৪ আসনের সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসানের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ বুধবার (১৬ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুর রহমান এই আদেশ দেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের কৌঁসুলি কামরুজ্জামান স্বপন বিষয়টি এনটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন।
রাজধানীর ভাটারা থানাধীন নতুন বাজার এলাকায় হোটেলের কর্মচারী রোহানকে হত্যাচেষ্টার মামলায় আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকবের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ভাটারা থানার এসআই হাফিজুর রহমান জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছিলেন।
রাজধানীর রমনা এলাকায় গৃহকর্মী লিজা আক্তারকে গুলি করে হত্যার মামলায় ঝিনাইদহ-৩ আসনের সাবেক এমপি নবী নেওয়াজকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গত ১২ এপ্রিল মামলার তদন্ত সংস্থা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) তাকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। তবে মামলার মূল নথি না থাকায় আদালত তাকে কারাগারে পাঠিয়ে ১৬ এপ্রিল রিমান্ড শুনানির তারিখ ধার্য করেন। এদিন শুনানিকালে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে আদালত তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ১৮ জুলাই রাজধানীর রমনা থানাধীন এলাকায় গৃহকর্মী লিজা আক্তার গুলিতে আহত হন। ২২ জুলাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।এ ঘটনায় ৫ সেপ্টেম্বর লিজা আক্তারের বাবা জয়নাল শিকদার বাদী হয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৭৪ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে শাওন তালুকদার নামের এক ব্যক্তি গুলিতে নিহত হওয়ার মামলায় সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিন এবং যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা যাত্রাবাড়ী থানার এসআই মেহেদী হাসান তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছিলেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে মহানগর পিপি ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন। তবে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিলের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।