সাভারে ঘুরে বেড়াচ্ছে সাংবাদিক হত্যাচেষ্টা মামলার আসামিরা

‘অপারেশন ডেভিল হান্ট' পরিচালনার মধ্যেই সাভারে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে জিটিভির সাংবাদিক হত্যাচেষ্টা মামলার আসামিরা। এ ঘটনায় কেউ গ্রেপ্তার না হওয়ায় প্রশ্ন উঠেছে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে।
পুলিশ বলছে, আসামিদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যেই তাদের গ্রেপ্তার করা হবে।
অপর দিকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য সন্ত্রাসীরা ভুক্তভোগী সাংবাদিক শামীম হাসান সীমান্তর (৩০) পরিবারকে হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়েছেন সাভার প্রেসক্লাবের সভাপতি নাজমুল হুদা।
সন্ত্রাসী সোহেল রানা ওরফে ইয়াবা সোহেল ও তার বাহিনীকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে নাজমুল হুদা বলেন, সোহেল রানার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে তার বাবা তাকে ত্যাজ্যপুত্র বলে ঘোষণা দিয়েছেন। নানা অপকর্মের পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে সে সিপি গ্যাংয়ের আদলে একটি বাহিনীর নেতৃত্ব দিয়ে আসছে।
গত বৃহস্পতিবার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেইরি গেইটের বিপরীতে জিটিভির আশুলিয়া প্রতিনিধি শামীম হাসান সীমান্তকে প্রকাশ্যে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে দুই ঘণ্টা একটি টর্চার সেলে আটকে রেখে চালানো হয় নির্যাতন। পরে তাদের উদ্ধার করে নেওয়া হয় সাভার উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। তাঁর গ্রামের বাড়ি রাজবাড়ী জেলার কালুখালীর সিকজান গ্রামে।
শামীম হাসান সীমান্ত জানান, পেশাগত তথ্য সংগ্রহের জন্য আমি ও সহকর্মী আমিনুল ইসলাম ক্যাম্পাসে প্রবেশের পর্যায়েই আশুলিয়ার ত্রাসখ্যাত সোহেল রানা ওরফে ইয়াবা রানা ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী আমার ওপর চড়াও হয়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই সোহেল রানার নেতৃত্বে সন্ত্রাসী সিদ্দিক ওরফে চোরা সিদ্দিক (৪৫), আল মামুন খান (৪৮), ফয়জুল ইসলাম (৪০), ইমদাদুল হক (৪০) ও জাহাঙ্গীর হোসেন সাগর (৪২) আমাদের তুলে নিয়ে যায় ডেইরি গেটের বিপরীতে চোরা সিদ্দিকের টর্চার সেলে। সেখানে আটকে রেখে নির্যতনের সময় চিকিৎকার শুনে আশপাশের দোকানদাররা এসে আমাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম সিদ্দিক।
ওসি বলেন, আমরা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ঘটনার সিসি টিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। সেখানে সাংবাদিক শামীম হাসান সীমান্ত ও তাঁর সহকারীর ওপর হামলার বিষয়টি স্পষ্ট।
এ বিষয়ে জানতে সোহেল রানার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।