বেসিক ব্যাংকের ১৪ মামলায় অধিকতর তদন্তের নির্দেশ

ঋণ জালিয়াতির মাধ্যমে রাষ্ট্রায়ত্ত বেসিক ব্যাংকের দুই হাজার ২৬৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে শেখ আবদুল হাই বাচ্চুসহ অন্যদের বিরুদ্ধে করা ৫৯ মামলার মধ্যে ১৪টিতে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার এক নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. আবুল কাশেম স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী রাজিব দে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ১৪টি মামলার একটি সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে এবং বাকি ১৩টি মামলা অভিযোগ গঠনের শুনানি পর্যায়ে ছিল। এসব মামলার আসামি শেখ আব্দুল হাই বাচ্চুসহ তার পরিবারের সদস্যরা পলাতক রয়েছেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলাগুলো আদালত পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।
ঋণ জালিয়াতির মাধ্যমে বেসিক ব্যাংকের দুই হাজার ২৬৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে ৫৯টি মামলা করে দুদক। এসব মামলার কোনোটিতেই ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান শেখ আবদুল হাই বাচ্চুকে আসামি করা হয়নি। তবে অভিযোগ ছিল, তিনি বেসিক ব্যাংকের মতো ভালো মানের একটি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংককে নাজুক অবস্থায় নিয়ে যাওয়ার হোতা ছিলেন।
২০২৩ সালের জুনে প্রায় ৭ বছর তদন্ত শেষে ৫৯ মামলার আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় দুদক। এর মধ্যে ৫৮টিতে বাচ্চুর নাম আসে।
অভিযোগপত্রভুক্ত আসামির তালিকায় ৪৬ ব্যাংক কর্মকর্তা ও ১০১ জন গ্রাহক রয়েছেন। তবে মামলাগুলোর কোনোটিতে পরিচালনা পর্ষদের কাউকে আসামি করেনি দুদক।
গত বছরের ৫ নভেম্বর বেসিক ব্যাংকের প্রায় ৯৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে করা মামলায় ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান শেখ আবদুল হাই বাচ্চু ও তাঁর পরিবারের চার সদস্যকে গত ২ জানুয়ারির মধ্যে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ।
বাচ্চুর পরিবারের চার সদস্য হলেন তাঁর স্ত্রী শিরিন আক্তার, ভাই শেখ শাহরিয়ার পান্না, ছেলে শেখ রাফা হাই ও শেখ সাবিত হাই অনিক। তারা সবাই পলাতক।