উড়োজাহাজ থেকে ডলার ফেলার ছবিটি সিনেমার দৃশ্য : নৌ-পরিবহণমন্ত্রী
মুক্তিপণের বিনিময়ে সোমালীয় জলদস্যুদের হাত থেকে বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ও এর ২৩ নাবিককে মুক্ত করার বিষয়ে নৌ-পরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘মুক্তিপণের তথ্যটি বিভিন্ন মাধ্যমে আসতেছে। কিন্তু আমার কাছে এ ধরনের কোনো তথ্য নেই। এটা (উড়োজাহাজ থেকে ডলার ফেলার দৃশ্য) কোন সিনেমার দৃশ্য তা আমি জানি না। এ ধরনের দৃশ্য তো আমরা অনেক সিনেমায় দেখি। কোন ছবি কোথায় গিয়ে কীভাবে যুক্ত হয়েছে, সেটা আমি জানি না। ডলারের মতো এত দামি জিনিস পানিতে ফেলা হয়, সেটাও আমার জানা ছিল না।’
আজ সোমবার (১৫ এপ্রিল) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। এর আগে তিনি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, একপক্ষের আলোচনার মাধ্যমে নাবিকরা মুক্ত হয়েছেন, বিষয়টি এমন নয়। এখানে বহুমাত্রিক আলোচনা হয়েছে। জলদস্যুদের ওপরও প্রচণ্ড চাপ ছিল। তাদেরও তো জীবনের মায়া আছে। সোমালীয় সরকারেরও মর্যাদা এখানে জড়িত।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সোমালিয়ায় জিম্মি হওয়া নাবিকরা এখন পুরোপুরি মুক্ত। এই নাবিকরা এখন জাহাজে কাজ করবে কিনা বা কতদিন করবে সেটা নির্ভর করবে মালিকদের ওপর। মালিকরা বলছেন নাবিকরা যা চাইবে সেভাবেই হবে। তবে, জাহাজের ২৩ নাবিক চাচ্ছেন দুবাই থেকে ফিরে আসার পর তারা আর জাহাজে কাজ করবেন না। পরিবারের কাছে ফিরে আসবেন।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘জাহাজ উদ্ধারের পুরো ক্রেডিট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। তাদের (জলদস্যুদের) সঙ্গে দ্রুত যোগাযোগ হয়েছে বলে ৩২ দিনে উদ্ধার সম্ভব হয়েছে। তবে ওই জাহাজটি অরক্ষিত ছিল। জাহাজে কোনো আর্মড ফোর্স ছিল না। ২০২১ সাল পর্যন্ত আর্মড ফোর্স ছিল জাহাজে। এখন থেকে মালিকদের নির্দেশনা দেওয়া হবে যাতে অস্ত্র রাখা হয়। এই সমুদ্র পথটাকে আরও নিরাপদ করার জন্য আইএমও-কে প্রস্তাব দেওয়া হবে। এজন্য কাজ শুরু করেছে নেভাল ফোর্স।’