প্রেমিককে হত্যার দায়ে প্রেমিকার ভাইসহ দুইজনের মৃত্যুদণ্ড
কুমিল্লার হোমনায় প্রেম সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ফয়সাল হোসেনকে (২২) প্রথমে শ্বাসরোধ ও পরে জবাই করে হত্যার দায়ে মো. শামীম মিয়া ও দুলাল মিয়াকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার (১ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন এ রায় দেন। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড প্রদান করেন আদালত। এনটিভি অনলাইনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের পরিদর্শক মুজিবুর রহমান।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন—হোমনা উপজেলার রাজনগর গ্রামের মো. শামীম মিয়া (২৪) ও একই উপজেলার সাফলেজি গ্রামের মো. দুলাল মিয়া প্রকাশ (২০)।
মামলার বিবরণের উদ্বৃতি দিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা মুজিবুর জানান, ফয়সালের সঙ্গে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মো. শামীম মিয়ার বোন মেহেদী আক্তারের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিষয়টি মানতে পারেনি শামীম। ২০২০ সালের ৫ জুন ফয়সালকে আড্ডা দেওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে প্রথমে শ্বাসরোধ ও পরে ছুরি দিয়ে জবাই করে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহত ফয়সালের বড় বোন সালমা আক্তার বাদী হয়ে মামলা করেন। পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার করে আসামিদের গ্রেপ্তার করে। দীর্ঘ শুনানির পর ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানির পর বিচারক তাদের মৃত্যুদণ্ড এবং একই সঙ্গে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড প্রদান করেন আদালত।
রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মো. শামীম মিয়া ও মো. দুলাল মিয়া আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপক্ষে নিযুক্ত বিজ্ঞ কৌসুলি অতি. পিপি অ্যাডভোকেট শেখ মাসুদ ইকবাল মজুমদার ও মো. নূরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা আশা করছি উচ্চ আদালত এ রায় বহাল রেখে দ্রুত তা বাস্তবায়ন করবেন।’
অপরদিকে, আসামি পক্ষে নিযুক্ত কৌসুলি অ্যাডভোকেট বিমল কৃষ্ণ দেবনাথ বলেন, ‘এ রায়ে আসামিপক্ষ অসন্তুষ্ট ও ক্ষুব্ধ। রায়ের কপি হাতে পেলে শীঘ্রই উচ্চ আদালতে আপিল করব।’