ট্রেনের ইঞ্জিন থেকে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী বিরতিহীন আন্তনগর সোনার বাংলা ট্রেনের ইঞ্জিনের সামনের হুকে ঝুলন্ত অবস্থায় বারিক মিয়া (৬২) নামে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে ভৈরব রেলওয়ে থানা পুলিশ।
আজ বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত বারিক মিয়া নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার হাসনাবাদ এলাকার মৃত কফিল উদ্দীন মীরের ছেলে।
ভৈরব রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলীম হোসেন জানান, কন্ট্রোলরুমের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা বিরতিহীন চট্টগ্রামগামী সোনার বাংলা ট্রেনটি থামানোর পর দেখা যায় ইঞ্জিনের সামনের হুকে একটি মরদেহ ঝুলছে।
মরদেহের দুটি পা বিচ্ছিন্নসহ পুরো দেহটি ক্ষত-বিক্ষত। এ ঘটনায় ভৈরব রেলওয়ে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে।
এদিকে প্রত্যক্ষদর্শী আব্দুল করিম ও সেলিম ভুঁইয়া জানান, বারিক মিয়া পেশায় একজন পানদোকানদার ছিলেন। আমীরগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনের মসজিদ মার্কেটে তাঁর দোকান ছিল।
আজ সকাল সাড়ে ৮টার দিকে প্রতিদিনের মতো দোকানে যাওয়ার পথে ওই ট্রেনের ইঞ্জিনের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এ সময় তাঁর পড়নের লুঙ্গি ইঞ্জিনের সামনের হুকে আটকে যায়। এ অবস্থায় ট্রেনটি ভৈরব বাজার রেলওয়ে জংশন স্টেশনে পৌঁছে। ইতোমধ্যে তাঁর দেহ ক্ষত-বিক্ষত হয়ে যায়।