ধর্ষণ মামলায় পুলিশ কনস্টেবল কারাগারে
নরসিংদীর রায়পুরায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক তরুণীকে (২২) ধর্ষণের অভিযোগে উঠেছে এক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে। তাঁর করা মামলায় ইমন (২৮) নামের পুলিশ কনস্টেবলকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাফায়েত হোসেন পলাশ।
গ্রেপ্ততার হওয়া পুলিশ কনস্টেবল ইমন (২৮) কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রাম থানায় পুলিশ সদস্য হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তিনি রায়পুরা উপজেলার বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর নগর গ্রামের মাহে আলমের ছেলে।
থানায় করা মালায় উল্লেখ করা হয়, প্রায় ১৮ মাস আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে তাঁদের পরিচয় হয় এবং পরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ভৈরব এলাকার বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে নিয়ে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করেন। পরবর্তী সময়ে বেড়ানোর কথা বলে চট্টগ্রামে নিয়ে পুনরায় শারীরিক সম্পর্ক করেন।
সর্বশেষ গত রোববার রাত ১টার দিকে রায়পুরায় ভুক্তভোগী তরুণীর বাড়ি থেকে ওই পুলিশ সদস্যকে ধর্ষণের চেষ্টা অভিযোগে এলাকাবাসী আটক করে থানা পুলিশে সোপর্দ করে। পরে গতকাল সোমবার সকালে ভুক্তভোগী তরুণী ধর্ষণের অভিযোগ এনে থানায় মামলা করেন।
অপর একটি সূত্রে জানা যায়, নির্যাতিতা তালাকপ্রাপ্ত এক নারী। গ্রেপ্তার হওয়া পুলিশ সদস্যের সঙ্গে দীর্ঘদিন তাঁর প্রেমের সম্পর্ক। ওই নারী তাঁকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু গ্রেপ্তার হওয়া ইমনের বিয়েতে মত ছিল না। সর্বশেষ তিনি সরকারি কাজে গাজীপুরে যান। সেখানে কাজ শেষে নিজ বাড়িতে ফিরে আসেন। একপর্যায়ে রোবাবর দুপুরে তিনি পাশের এলাকায় মেয়ের বাড়িতে যান। সেখানে গেলে তাঁকে বিয়ের জন্য চাপ দেওয়া হয়। এতে তিনি রাজি হননি। পরে দিনভর স্থানীয় ভাবে মীমাংসার চেষ্টা চলানো হয়। না পেরে রাত ১টার দিকে অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবল ইমনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে রায়পুরা থানা পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
রায়পুরা থানার ওসি সাফায়েত হোসেন পলাশ বলেন, গত রোববার রাত ১টার দিকে ভুক্তভোগী নারীর বাড়ি থেকে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য ইমনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। গতকাল সোমবার আমলি আদালতে তোলা হলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।