‘কম্বলখান মোক শীত থাকি বাঁচাইবে’
‘এইবার ঠান্ডাত জীবন শ্যাষ বাবা। এই শীতোত কম্বল খান পায়া মোর উপকার হইল। মোর ছাওয়া মোক দেখে না। মাইনষের কাপড় নিয়া গাত দেছু। এই কম্বলখান মোক শীত থাকি বাঁচাইবে।’ আজ রোববার (১৪ জানুয়ারি) বিকেলে একটি কম্বল পেয়ে কথাগুলো বলেন বৃদ্ধা মরজিনা বেগম (৬৫)। তিনি নীলফামারী কিশোরগঞ্জের দুরাকুটি এলাকার মৃত মফেল উদ্দিনের স্ত্রী।
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আজ বিকেলে অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার্স কল্যাণ সমিতি ৫০০ অসহায় ছিন্নমূল মানুষের মধ্যে কম্বল বিতরণ করে।
কিশোরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)পলাশ চন্দ্র মণ্ডলের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার গোলাম সবুর। এ সময় অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র এএসপি সিরাজুল ইসলামও উপস্থিত ছিলেন।
শীতবস্ত্র পেয়ে মজিবুর নামের এক বৃদ্ধ বলেন, এ বছর গরম কাপড়ও তেমন কিনতে পারি নাই। রাতে ঠান্ডাতে ঠিকমতো ঘুম হয় না। আজকে পুলিশ কম্বল দিল, এতে আমার খুব উপকার হলো। এখন এই কম্বল শরীরে জড়িয়ে রাতে ঘুমাব তাতে শীত কম লাগবে। আল্লাহ তাদের ভালো করুক।
শেফালী বেগম নামে এক নারী বলেন, ‘কতজনের কাছে গেছি কেউ একটা কম্বল দেই নাই। আজকে পুলিশ একটা কম্বল দিল। এলা শীতটা এই কম্বল দিয়া ভালোভাবে কাটবে।’
এ সময় অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র এএসপি সিরাজুল ইসলাম বলেন, কয়েকদিন ধরে ঘন কুয়াশা, হিমশীতল বাতাস আর হাড় কাঁপানো কনকনে ঠান্ডায় জনজীবন কাহিল হয়ে পড়েছে। এজন্য অসহায় দুস্থ শীতার্ত মানুষগুলোর শীতের কষ্ট নিবারণে এটি আমাদের ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা।