মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার বেজগাঁও ইউনিয়নের আটিগাঁও ব্লকে ৫০ জন কৃষকের ৫০ একর জমিতে কৃষি প্রণোদনার আওতায় এই প্রথম সমলয় পদ্ধতিতে ধান চাষের উদ্বোধন করা হয়েছে।

আজ রোববার সকালে সমলয় পদ্ধতিতে ধান চাষ উদ্বোধন করেন উপজেলা সিনিয়র কৃষি কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম।

সমলয় পদ্ধতিতে হাইব্রিড এসএল-৮ এইচ ধান চাষাবাদ করা হয়। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে আনুমানিক সাত লাখ টাকা। এ পদ্ধতিতে ধান চাষে কৃষককে উদ্বুদ্ধ করার জন্য বিনামূল্যে বীজ, সার, কীটনাশক, পরিচর্যার জন্য যন্ত্রপাতি ও ধান  রোপণ থেকে শুরু করে মারাই পর্যন্ত অত্যাধুনিক মেশিন সরবরাহ করা হবে। সমলয় পদ্ধতিতে ধান চাষে বীজ বপনের ২৫ দিন ও চারা রোপণের ১২০ দিনের মধ্যে কৃষক ফসল ঘরে তুলতে পারবে।

কৃষক মো. ফজল শেখ ও মো. কাশেম শেখ বলেন, ‘আমরা সরকারি প্রণোদনার আওতায় সমলয় পদ্ধতিতে হাইব্রিড ধান চাষের জন্য বীজ বপন করলাম। এরপর চারা রোপণ করা হবে।’ 

কৃষক মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, সমলয় পদ্ধিতে সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয়ভাবে মেশিনে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করে চাষাবাদ করা হবে। এতে আমাদের অর্থ ও শ্রম দুটোই বাঁচবে।’ 

উপজেলা সিনিয়র কৃষি কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, উপজেলায় এবারই প্রথম সমলয় পদ্ধতিতে সরকারের প্রণোদনার আওতায় হাইব্রিড জাতের ধান চাষ করা হচ্ছে। হাইব্রিড ধান কৃষক পর্যায়ে জনপ্রিয় করার লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। বীজ বপন থেকে শুরু করে মারাই, ঝাড়াই সবই হবে মেশিনের মাধ্যমে। এ পদ্ধতিতে কৃষকের বীজ ও সার কম লাগবে। কম খরচে অধিক পরিমাণে ফসল ঘরে তোলা যায় এ পদ্ধতিতে।

প্রচলিত রীতিতে বীজতলা তৈরি না করে জমি ও সময় অপচয়রোধে কৃষি যান্ত্রিকীকরণের যুগোপযোগী পদ্ধতি হচ্ছে ‘সমলয়’ চাষ পদ্ধতি। স্বল্প জমিতে প্লাস্টিকের ফ্রেমে বা ট্রে-তে লাগানো হয় ধানের বীজ।