পটিয়ায় বালুমহাল নিয়ে বিরোধে গোলাগুলি, যুবলীগ নেতাসহ আহত চার
চট্টগ্রামের পটিয়ায় বালুমহালের বিরোধে দুপক্ষের মধ্যে গোলাগুলি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন একজন যুবলীগ নেতা। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও তিনজন। ভাঙচুর করা হয়েছে একটি এস্কেভেটর ও দুটি মোটরসাইকেল। গতকাল শনিবার (১১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার শ্রীমাই খালের পারিগ্রাম-বাহুলী অংশে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, কচুয়াই ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বোরহান উদ্দিন নাছির (৩০), মোহাম্মদ মন্নান, জুনায়েদ ও রোকন উদ্দিন। এর মধ্যে গুলিবিদ্ধ নাছির চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বালুমহাল নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। প্রতিদিনের মতোন শনিবারও এস্কেভেটর ও মেশিনের মাধ্যমে বালু তোলা হচ্ছিল। এ সময় পৌর এলাকার বাহুলী গ্রাম থেকে ৮০ থেকে ১০০ জনের একটি দল শ্রীমাই খালে গিয়ে মোটরসাইলে ভাঙচুর করে এবং কয়েকজনকে কুপিয়ে আহত করে। খবর পেয়ে কচুয়াই ইউনিয়নের লোকজন সেখানে গেলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের সময় পাঁচ থেকে ছয় রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে।
আহত বোরহান উদ্দিন জানান, শ্রীমাই খালটি তারা ইজারা নিয়েছেন। সে অনুযায়ী, তারা সেখান থেকে বালু তুলছিলেন। শনিবার বিকেলে হঠাৎ করে বাহুলী এলাকা থেকে একদল লোক এসে বালু তুলতে বাধা দেয় এবং গুলি করতে থাকে। এ সময় তারা কয়েকজন আহত হন।
বাহুলী এলাকার কৃষক ইদ্রিস মিয়ার দাবি, চলতি বছর ওই খালে কোনো ধরনের ইজারা দেওয়া হয়নি। নতুন করে খাল খনন করে বেড়িবাঁধ করা হয়েছে। বালু ইজারা দেওয়া হলে বেড়িবাঁধের ক্ষতি হবে তাই জেলা প্রশাসন এ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। বিষয়টি উপজেলা ভূমি অফিস থেকে সরেজমিনে পরিমাপ করে বালু লুটেরাদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, এরপরও কচুয়াইর একটি গ্রুপ বালু কেটে পাচার করছে। আর এ কারণে বেড়িবাঁধ ভেঙে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে থানাসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে গ্রামের লোকজন একাধিকবার অভিযোগ দিলেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ এই কৃষকের। তাই গ্রামের লোকজন বাধ্য হয়ে খাল থেকে তাদের তুলে দিয়েছে বলে জানান তিনি।
সংঘর্ষের বিষয়টি নিশ্চিত করে পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রিটন সরকার বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’