সাবেক উপমন্ত্রী, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও এপি গ্রুপের চেয়ারম্যান এ এফ এম ফখরুল ইসলাম মুন্সী আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। 

আজ শনিবার (২১ অক্টোবর) ভোর ৪টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এ এফ এম ফখরুল ইসলাম মুন্সী। তিনি কুমিল্লা-৪ আসনের সংসদ সদস্য রাজী মোহাম্মদ ফখরুলের পিতা।

সংসদ সদস্য রাজী মোহাম্মদ ফখরুল জানান, গত ৯ অক্টোবর ব্রেনস্ট্রোক করায় তার বাবা ফখরুল ইসলাম মুন্সীকে রাজধানীর ইউনাইটেড হসপিটালের লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ ভোরে তিনি মারা যান।

ফখরুল ইসলাম মুন্সী ১৯৪৭ সালে কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী রাকিবা বানু, দুই ছেলে রাকিব মোহাম্মদ ফখরুল ও রাজী মোহাম্মদ ফখরুলসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, এ এফ এম ফখরুল ইসলাম মুন্সীর প্রথম জানাজা কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার নিজ গ্রাম বনকুটে, দ্বিতীয় জানাজা বাদ জোহর রেয়াজ উদ্দিন মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে, তৃতীয় জানাজা বাদ আসর জাতীয় সংসদ ভবন, চতুর্থ জানাজা বাদ মাগরিব গুলশান সোসাইটি মসজিদের ৬৩নং রোডে অনুষ্ঠিত হবে। পরে বনানী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।

ফখরুল ইসলাম মুন্সী ১৯৮৫ সালে প্রথম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দেবিদ্বার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হন। একই সময় বাংলাদেশ উপজেলা চেয়ারম্যান পরিষদের চেয়ারম্যান পদেও নির্বাচিত হন।

পরে ১৯৮৬ সালের তৃতীয় ও ১৯৮৮ সালের চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি জাতীয় পার্টি থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি এরশাদ সরকারের নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী এবং অর্থ উপমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৯১ সালের পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে পরাজিত হন ফখরুল ইসলাম মুন্সী। ১৯৯৫ সালে তিনি আওয়ামী লীগে যোগদান করে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে অংশগ্রহণ করে পরাজিত হন।