ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সঙ্গে বামার মতবিনিময়
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফের সঙ্গে মতবিনিময় করেছে বাংলাদেশ আয়ুর্বেদিক মেডিসিন ম্যানুফ্যাকচারার্স এ্যাসোসিয়েশন-বামা।
রাজধানীর মহাখালীস্থ ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের কার্যালয়ে সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বামার সভাপতি, হামদর্দ ল্যাবরেটরীজ (ওয়াক্ফ) বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চিফ মোতাওয়াল্লী ড. হাকীম মো. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়ার নেতৃত্বে সংগঠনের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে এ মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় ওষুধ ও কসমেটিকস্ আইন ২০২৩ জাতীয় সংসদে পাস হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে ধন্যবাদ জানায় সংগঠনটি।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, ওষুধ ও কসমেটিকস্ আইন ২০২৩ পাস হওয়া ওষুধ সেক্টরের জন্য যুগান্তকারী ঘটনা। ফলে ওষুধের পাশাপাশি প্রসাধনী শিল্প, ফুড ও ডায়েটিং সাপ্লিমেন্ট উৎপাদন ও বিপণনের ক্ষেত্রে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে যাবে বাংলাদেশ।
ডিজি ড্রাগ আরও বলেন, সরকারি তথ্যানুযায়ী প্রতিবছর ৩০ হাজার কোটি টাকার কসমেটিকস্, ফুড ও ডায়েটিং সাপ্লিমেন্ট আমদানি করা হয়। নতুন আইনের ফলে বাংলাদেশেই এসব পণ্য উৎপাদনের সুযোগ তৈরি হলো। এ কারণে এ সেক্টরে কর্মসংস্থান যেমন বাড়বে, তেমনি নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে পণ্যসামগ্রী বিদেশে রপ্তানি করে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের সুযোগও হবে।
বামার সভাপতি ড. হাকীম মো. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়া বলেন, ইউনানী, আয়ুর্বেদিক ও হার্বাল সেক্টরকে এগিয়ে নিতে ওষুধ উৎপাদন সংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তারা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। সরকার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সহযোগিতা করলে এবং এ সেক্টর থেকে বিদ্যমান সমস্যাগুলো দূর হলে ইউনানী, আয়ুর্বেদিক ও হার্বাল ওষুধ শিল্পের কাঙ্ক্ষিত বিকাশ হওয়া অসম্ভব কিছু নয়।
মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অধিদপ্তরের পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন, উপ-পরিচালক আব্দুল মালেক, বামার সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. মিজানুর রহমান, সাবেক সভাপতি শিবব্রত রায়, সহ-সভাপতি মো. ফজলুর রহমান, যুগ্ম-সম্পাদক ফজলুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন, প্রচার সম্পাদক আবুল হাসানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।