পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) জনগণের আস্থা ও ভালবাসার প্রতীকে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন।

আজ বুধবার (২৩ আগস্ট) পুলিশ প্রধান সিআইডি হেডকোয়ার্টার পরিদর্শনে গিয়ে এ মন্তব্য করেন। এ সময় তাকে স্বাগত জানান সিআইডি প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া। সেখানে সিআইডির গত এক বছরের অর্জন নিয়ে প্রকাশিত ‘স্মার্ট ইনভেস্টিগেশনে সিআইডি’ শিরোনামে একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন আইজিপি।

সিআইডির কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা ও ভূয়সী প্রশংসা করে আইজিপি বলেন, ‘ইতোমধ্যে সিআইডি সরকারের বিভিন্ন ইউনিটসহ সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে।’ সিআইডিতে সাইবার মনিটরিং সেল, মানব পাচার মনিটরিং সেল, প্রসিকিউশন সেলসহ নতুন নতুন উদ্যোগ গ্রহণ এবং গ্রুপ ভিত্তিক তদন্ত কার্যক্রম, কেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম এবং ফরোয়ার্ড ডায়েরি মেইনটেইন করার ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন।

মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স, ফিন্যান্সিয়াল ক্রাইম প্রতিরোধ, মানব পাচার প্রতিরোধ, সাইবার ক্রাইম দমন এবং ক্রিমিনাল ইন্টেলিজেন্স সংগ্রহ সিআইডিকে আরও গতিশীল ভূমিকা পালন করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন আইজিপি।

সিআইডি প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া তার বক্তব্যে অপরাধ দমনে চলমান কার্যক্রমের ওপর আলোকপাত করেন। তিনি সিআইডির আধুনিকায়নে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জসমূহ তুলে ধরেন এবং আইজিপির সহযোগিতা কামনা করেন।

সিআইডির কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন ইউনিটের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উপস্থিতিতে মতবিনিময় সভায় সিআইডির ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা ও চ্যালেঞ্জসমূহ উপস্থাপন করা হয়।  

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এসবি প্রধান মো. মনিরুল ইসলাম। এছাড়া ডিআইজি (অর্গানাইজড ক্রাইম) কুসুম দেওয়ান, ডিআইজি (এইচআরএম) মো. মাইনুল হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।