খুমেকের প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়ে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ওষুধ ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষের পর ইন্টার্ন চিকিৎসক ও ব্যবসায়ীদের কর্মবিরতিতে বিপাকে পড়েছেন চিকিৎসাসেবা প্রার্থীরা। ইন্টার্ন চিকিৎসকদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে আজ বুধবার (১৬ আগস্ট) সকালে খুমেকের প্রশাসনিক ভবনের প্রধান ফটকে তালা দিয়ে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার (১৪ আগস্ট) রাত ৯টার দিকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সামনের মার্কেটের মেসার্স বিপ্লব মেডিসিন কর্নার নামের একটি ওষুধের দোকানে এক শিক্ষার্থী ওষুধ কিনতে গিয়েছিলেন। তবে দোকানদার অতিরিক্ত মূল্য চাওয়ায় তিনি প্রতিবাদ করেন। তখন তাকে লাঞ্ছিত করা হয়। পরবর্তীতে অন্য শিক্ষার্থীরা গিয়ে এ বিষয়ে জানতে চাইলে দোকানদাররা জড়ো হয়ে তাদের ওপর হামলা করেন।
অন্যদিকে ওষুধ দোকানিরা দাবি করেন, ওই শিক্ষার্থী ৭০ টাকার ওষুধ কেনার পর মোট দামের ওপর ১০ শতাংশ কমিশন চেয়েছিলেন। তবে দোকানদার ওই কমিশন দিতে রাজি না হওয়ায় দুজন বাগ্বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। পরে খুলনা মেডিক্যাল কলেজের হল থেকে শিক্ষার্থীরা গিয়ে ওই দোকানে ভাঙচুর চালান। এ সময় পাল্টাপাল্টি হামলায় উভয় পক্ষের কমপক্ষে ২০ জন আহত হন।
আহতদের মধ্যে শিক্ষার্থী সবুজ সরকার, আনান, নাফিজ ফুয়াদ, হাফিজ, তাহসিম, মাহাদী ও দেব চৌধুরীর অবস্থা গুরুতর। এ ঘটনার পর খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা কর্মবিরতি শুরু করেছেন।
ইন্টার্ন চিকিৎসক ও ওষুধের দোকান বন্ধ থাকায় বিড়ম্বনায় পড়েছেন রোগী ও তাদের স্বজনরা। একাধিক সেবাপ্রত্যাশী জানান, ইন্টার্ন চিকিৎসকরা হাসপাতালে সব সময় দায়িত্ব পালন করেন। তারা রোগীদের মূল সেবা প্রদান করেন। কিন্তু, তাদের অনুপস্থিতিতে স্বাভাবিক সেবা বঞ্চিত হচ্ছেন। আবার ওষুধের দোকান বন্ধ থাকায় তাদের দুই থেকে তিন কিলোমিটার দূরে গিয়ে ওষুধ আনতে হচ্ছে। ফলে সময় ও অর্থ নষ্ট হচ্ছে।
খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ অধ্যপক ডা. মোদীন উল ইসলাম বলেন, ‘শিক্ষার্থী ও চিকিৎসকদের ওপর হামলার ঘটনা দুঃখজনক। কলেজের পক্ষ হতে সোনাডাঙা থানায় পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করা হলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ।’