বরযাত্রীবাহী ট্রলারে ডাকাতি, আহত পাঁচজন
কিশোরগঞ্জের মেঘনা নদীতে বরযাত্রীবাহী ট্রলারে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। ডাকাতরা দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে বরযাত্রীদের কাছ থেকে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকারসহ প্রায় দুই লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুটে নিয়েছে বলে জানিয়েছে স্বজনরা। ঘটনার সময় ডাকাতদের এলোপাতাড়ি মারধরে কমপক্ষে পাঁচজন আহত হন।
এ ব্যাপারে ভৈরব নৌপুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনিসুর রহমান এনটিভি অনলাইনকে জানায়, মেঘনা নদীর বাজিতপুর-সরাইল মোহনার কাছে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি শুনেছেন। তবে এ ব্যাপারে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি।
মো.আনিসুর রহমান আরো জানান, সন্ধ্যার পর নদীর ওইপথে নৌপুলিশের কোনো টহল টিম কাজ করে না। তবে বরযাত্রী যাবে এমনটি জানা থাকলে নৌপুলিশ প্রহরার ব্যবস্থা করত।
এদিকে ডাকাতির শিকার বরযাত্রীরা জানায়, পূর্বঅষ্টগ্রাম এলাকার আসাদুল হক আতিক এবং পাকুন্দিয়ার মুন্নি আক্তারের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয় কিশোরগঞ্জ সদরের উজানভাটি কমিউনিটি সেন্টারে। সেখান থেকে সড়কপথে বর-কনেসহ অষ্টগ্রাম যাওয়ার উদ্দেশে কুলিয়ারচর লঞ্চ টার্মিনালে আসে তারা। পরে একটি স্পিডবোটে বর-কনেকে উঠিয়ে দিয়ে তারা নজরুল মাঝির ট্রলারে করে ৩০-৩৫ জন লোক অষ্টগ্রামের উদ্দেশে যাত্রা করে।
পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বাজিতপুর-সরাইল থানার মোহনার কাছে সুলায়মানপুর-রাজাপুরের মাঝামাঝি পৌঁছালে অপর একটি ট্রলারে করে সাত-আটজনের একটি ডাকাতদল তাদের ট্রলারে হানা দেয়। এ সময় ডাকাতরা দেশীয় অস্ত্রের মুখে বরযাত্রীদের জিম্মি করে স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা ও মোবাইল ফোনসেটসহ প্রায় দুই লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুটে নিয়ে সটকে পড়ে। এ সময় ডাকাতদের এলোপাতাড়ি আঘাতে বরের ছোটভাই রুনেল (২৮), বন্ধু লায়েছ মিয়া (৪২), খাইরুল (৩৬), সহিদ মিয়া (৩০) ও সবু মিয়া (৫০) নামের পাঁচজন আহত হন।