ভৈরবে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ, স্বামী পলাতক
কিশোরগঞ্জের ভৈরবের উত্তর ভৈরবপুর এলাকা থেকে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে তামান্না সুলতানা জুঁই নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে ওই গৃহবধূর স্বামী মাসুম ছয়েল পলাতক রয়েছেন।
জুঁইয়ের মা মুর্শেদা বেগমের অভিযোগ, ছয়েল তাঁর মেয়েকে হত্যার পর লাশ ঝুলিয়ে পালিয়ে গেছে।
এ বিষয়ে ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বদরুল আলম তালুকদার এনটিভি অনলাইনকে জানিয়েছেন, খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির পর ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
পুলিশ জানায়, ভৈরব পৌর শহরের উত্তর ভৈরবপুর এলাকায় ভাড়াবাসায় এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশের খবর পেয়ে উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আশরাফুল আলমের নেতৃত্বে পুলিশ ওই বাড়ি যায়। বাড়ির শয়নকক্ষের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গৃহবধূর রশি দিয়ে ফাঁস আটকানো লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে লাশ থানায় নিয়ে আসে। গৃহবধূর শরীরের কোথাও আঘাতের চিহ্ন না থাকায় হত্যা না আত্মহত্যা সেটি জানার জন্য ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে বলে জানিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আশরাফুল আলম।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, পাঁচ বছর আগে শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার জামাল উদ্দিনের ছেলে মাসুম ছয়েল ও উত্তর ভৈরবপুর এলাকার তামান্না সুলতানা জুঁই ভালোবেসে বিয়ে করেন। পেশায় মাইক্রোবাস চালক ছয়েল স্ত্রী জুঁইকে নিয়ে ওই বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। আনাফ নামের তাদের দেড় বছরের একটি ছেলে সন্তান আছে।
জুঁইয়ের মা মুর্শেদা বেগম জানান, বিয়ের কিছু দিন যাওয়ার পরই ছয়েল বিভিন্ন সময় বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে দিতে চাপ দিতে থাকেন। মেয়ের সুখের জন্য কয়েক দফায় টাকা দিয়েছেনও তাঁরা। নতুন করে আবারও টাকার জন্য চাপ দিলে জুঁই স্বামীকে টাকা দিতে তাঁকে নিষেধ করেন। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিবাদ চলছিল। গতকাল রাতে ছয়েল তাদের নাতি আনাফকে কৌশলে তাদের বাড়ি দিয়ে আসেন। আজ সকালে তিনি মেয়ের মৃত্যুর খবর শুনেন। তিনি ছয়েলের গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবি জানান।