সিলেটে হত্যা মামলার আসামি ঢাকায় গ্রেপ্তার
সিলেট নগরীর জিন্দাবাজারে কলেজছাত্র মিসবাহকে হত্যার ঘটনায় তাঁর বন্ধু কবিরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ বৃহস্পতিবার ভোরে ঢাকার শাহবাগ থেকে কবিরকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান সিলেট নগরীর বন্দরবাজার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফয়েজ।
এসআই জানান, কবিরের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে তাকে ধরতে বুধবার রাতে প্রথমে জামালপুর অভিযান চালানো হয়। পুলিশের অভিযানের আগেই তিনি জামালপুর থেকে পালিয়ে যান। এরপর ভোরে ঢাকার শাহবাগে অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। ঢাকায় আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাঁকে সিলেটে নিয়ে আসা হবে বলে জানান ফয়েজ।
গত ২৬ নভেম্বর সন্ধ্যায় জিন্দাবাজারের কাস্টমস অফিসের সামনে মিসবাহ উদ্দিনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। মিসবাহ নগরীর একটি বেসরকারি কলেজ থেকে গত বছর এইচএসসি পাস করেন। এ ঘটনায় মিসবাহর মা বাদী হয়ে কবিরকে আসামি করে মামলা করেন।
হত্যাকাণ্ডের পর নিহত মিসবাহর চাচা রেজাউল করিম সেবুল জানিয়েছিলেন, মিসবাহকে খুনের পর বন্ধু-সহপাঠীদের মাধ্যমে কবির নামের এক বন্ধুর সঙ্গে তার বিরোধ ছিল বলে তারা জানতে পারেন। কবির নগরীর জিন্দাবাজারের কাজী ম্যানশনের একটি টেইলার্সের কর্মচারী বলে জানিয়েছেন তিনি। কবিরের সঙ্গে মিসবাহের যোগাযোগ ছিল বলে তাঁরা আগে জানতেন না। গত রমজানে কবিরের সঙ্গে মিসবাহর বিরোধ হলে মার্কেটের ব্যবসায়ীরা তা মিটমাট করে দেন বলে জানান রেজাউল করিম। পরে আর কোনো বিরোধ না হলেও কবিরের নেতৃত্বে ছয়-সাতজনের উপস্থিতিতে মিসবাহকে খুন করা হয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে তিনি দাবি করেন।
২৬ নভেম্বর রাত ৮টায় নগরীর জিন্দাবাজারে খাদ্য অফিসের সামনে মিসবাহকে কুপিয়ে খুন করা হয়। লাশের সুরতহাল প্রসঙ্গে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল আহমদ বলেন, নিহত মিসবাহর গলার বাম পাশে ধারাল অস্ত্রের এক কোপে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
সিলেট কমার্স কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করা নিহত মিসবাহ উদ্দিন দোয়ারাবাজারের চণ্ডীপুরের রহমত উল্লাহর ছেলে। বাবা জার্মানি প্রবাসী হওয়ায় পড়ালেখার জন্য মা ও দুই বোনের সঙ্গে তিনি নগরীর মজুমদারী কোনাপাড়ার শ্রাবণী ৫৪ নম্বর বাসার ভাড়া থাকতেন। এক বছর আগে এইচএসসি পাস করলেও সেবার ভালো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারেননি মিসবাহ।