মানবতাবিরোধী অপরাধ : কারাগারে মহেশখালীর চারজন
মানবতাবিরোধী অপরাধে গ্রেপ্তার মহেশখালীর চারজনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে তাঁদের কোন ক্ষমতাবলে ডাণ্ডাবেড়ি পরিয়ে আদালতে আনা হয়েছে তাও জানতে চেয়েছেন আদালত। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে আইজি প্রিজনকে এ বিষয়ে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আজ রোববার বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এ নির্দেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য সদস্যরা হলেন বিচারপতি মুজিবুর রহমান মিয়া এবং বিচারপতি শাহিনুর ইসলাম।
এর আগে আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ওসমান গনি, মোহাম্মদ জিন্নাহ ওরফে জিন্নাত আলী, বাদশাহ মিয়া, মৌলভী নুরুল ইসলামকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। এ সময় চারজনের পায়েই ডাণ্ডাবেড়ি পরানো ছিল।
একে নিয়মবহির্ভূত বলে মনে করেন আইনজীবীরা। কোনো দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ছাড়া অথবা বড় ধরনের সন্ত্রাসী ছাড়া পায়ে ডাণ্ডাবেড়ি পরানোর নিয়ম নেই বলে জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এস এম শাহজাহান।
রাষ্ট্রপক্ষে চিফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপু উপস্থিত থাকলেও আসামিপক্ষে কোনো আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না।
এর আগে দুই দফায় মহেশখালীর মোট ১৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। এর মধ্যে গত শুক্রবার ভোররাতে কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের কালা গাজীর পাড়া থেকে বাদশা মিয়াকে (৬৫) গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এ ছাড়া বৃহস্পতিবার বিকেলে মহেশখালী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আলাদা অভিযান চালিয়ে মৌলভী ওসমান গনি, জিন্নাত আলী ও নুরুল ইসলামকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ।