ধর্মঘটে খুলনায় যাত্রী দুর্ভোগ চরমে

ফরিদপুরের মধুখালীতে সোহাগ পরিবহনের চালক ও চেকারকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে ঢাকার সঙ্গে খুলনাসহ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সড়ক যোগাযোগ ষষ্ঠ দিনের মতো বন্ধ আছে। বিভাগের ১০ জেলার অভ্যন্তরীণ রুটেও বাস চলাচল বন্ধ আছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন দূরপাল্লার বিভিন্ন রুটের যাত্রীরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, সোনাডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে সারিবদ্ধভাবে অনেকগুলো বাস আছে; কিন্তু কোনো যাত্রী নেই। টার্মিনালের ভেতর বসে অলস সময় পার করছেন কয়েকজন শ্রমিক।
ওই শ্রমিকদের একজন এনটিভিকে বলেন, মধুখালীতে গ্রেপ্তার হওয়া চালক ও চেকারকে ছাড়লেই তাঁরা ধর্মঘট প্রত্যাহার করবেন। তিনি বলেন, ‘২৬ তারিখের ভেতর যদি না ছাড়ে, দেখা যাচ্ছে সারা বাংলাদেশে গাড়ি বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা আছে। কাজ নাই, ঠিক আছে। আমাদের কষ্ট হচ্ছে। দেখা যাচ্ছে, আজকে তাগে (তাদের) ধরসে। কাইলকে যে আমাগে (আমাদের) ধরবে না, কোনো সিকিউরিটি (ভরসা) নেই।’ তিনি আরো বলেন, ‘ডাকাতরা ডাকাতি কইরে চইলে যাবে, স্টাফগে ধইরে মাইর-ধইর করবে, এটা আমাদের দ্বারা সম্ভব না।’
অবরোধের কারণে অনেকে বাধ্য হয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও মহেন্দ্রতে করে বিভিন্ন রুটে যাত্রা করছে।
একজন যাত্রী এনটিভিকে বলেন, ‘যাতায়াতে খুবই সমস্যা হইছে। আমি তো যেতে পারছি না। ভেঙে ভেঙে যেতে হবে এখন অনেক পথ।’
ওই যাত্রী আরো বলেন, ‘আমি ঝিনাইদহ যাব। এখান থেকে হয়তো ফুলবাড়ী গেট। সেখান থেকে নোয়াপাড়া। নোয়াপাড়া থেকে যশোর। এ রকম ভেঙে ভেঙে।’
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে মোটরবাস মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের খুলনা অঞ্চলের আহ্বায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল গাফফার বিশ্বাস জানান, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত এই ধর্মঘট অব্যাহত থাকবে। আজ (রোববার) আদালতে যদি গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের জামিন দেওয়া না হয়, তাহলে ধর্মঘটের আওতা আরো বাড়তে পারে।