এরশাদের আমলে গণতন্ত্র ছিল, শান্তি ছিল : রুহুল আমিন
জাতীয় পার্টির মহাসচিব সংসদ সদস্য এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেছেন, দেশে অন্ধকারে আলোর প্রদীপ জ্বালিয়ে ছিলেন সাবেক সফল রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। তাঁর নয় বছরে শাসনামলে দেশে গণতন্ত্র ছিল, মানুষের নিরাপত্তা ছিল, অধিকার ছিল, শান্তি ছিল। অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিপূর্ণ দেশে তখন হাজার হাজার কিলোমিটার রাস্তাঘাট তৈরি হয়েছিল। দেশে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও হানাহানি ছিল না। আর এখন জাতির একটি কঠিন ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় যুবসংহতির গাজীপুর মহানগর শাখার সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব।
রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, ‘আমরা সরকারকে সহযোগিতা করছি। তাদের ভালো কাজে প্রশংসা করছি এবং খারাপ কাজের প্রতিবাদ করি। অতীতে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বহুবার কারাবরণ করেছেন। এখনো তাঁর মামলাগুলো প্রত্যাহার হচ্ছে না।
জাতীয় পার্টির মহাসচিব মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমানদের পাশে দাঁড়াতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
রুহুল আমিন হাওলাদার আরো বলেন, জাতীয় পার্টি আগামীতে এককভাবে নির্বাচন করবে। এ জন্য এখন থেকেই প্রস্তুতি নেওয়া শুরু হয়েছে। আগামী পহেলা জানুয়ারিতে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশের মাধ্যমে পূর্ণ শক্তি নিয়ে জাতীয় পার্টি নির্বাচনী কাজে নেমে পড়বে।
গাজীপুর জেলা শহরের মুক্তমঞ্চে বিকেলে অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান ও জাতীয় যুব সংহতির আহ্বায়ক আলমগীর সিকদার লোটন। এতে প্রধান বক্তা ছিলেন জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় যুবসংহতির সাংগঠনিক সম্পাদক ফকরুল আহ্সান শাহ্জাদা
জাতীয় যুবসংহতি গাজীপুর মহানগর শাখার সভাপতি জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার আবদুস সালাম, গাজীপুর মহানগর জাতীয় পার্টির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সাত্তার মিয়া, কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান বাহাউদ্দিন আহম্মেদ বাবুল, আরিফ খাঁন, মহানগর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় সদস্য মো. জয়নাল আবেদীন, সাইদুর রহমান শাহিন, সদর উপজেলা জাতীয় পার্টির সাবেক সভাপতি মো. মোশারফ হোসেন, যুব সংহতির কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক মো. বাছেদ আলী টিপু, জাতীয় পার্টি নেতা মো. ফারুক খান, হাজি আবদুস সোবহান, মো. রমজান আলী, পবন চন্দ্র ঘোষ, মোহাম্মদ আলী কমান্ডার, সাইফুল ইসলাম খাঁন, আবদুস ছামাদ মিয়া, মো. শাহজাহান মোল্লা, তসলীম উদ্দিন, অ্যাডভোকেট আবু তালেব মানিক, মো. আশরাফুল ইসলাম, মো. ইসমাইল, অ্যাডভোকেট মোস্তফা জামান, মো. জহিরুল ইসলাম সরকার, মো. আমান উল্লাহ আমান, মো. হারুন অর রশীদ, মো. সালেহ আহম্মদ (ছালামত), নূর জাহান নূরী, হাসান সারোয়ার সুজন, অনীল চন্দ্র দে, সালাম মোল্লা, মহানগর যুব সংহতির সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন, মো. দুলাল মৃধা, ডেভিড গোমেজ, ছাত্রসমাজ নেতা মো. ইয়াজ উদ্দিন সরকার, মো. ফয়সাল রানা প্রমুখ।