আ. লীগ নেতা ফারুক হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার দাবি

টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগ নেতা, মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলার আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি করেছেন ফারুকের স্ত্রী নাহার আহমেদ। আজ মঙ্গলবার দুপুরে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এ দাবি জানান।
নাহার আহমেদ বলেন, গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) এই মামলা তদন্ত করছে। ডিবি পুলিশের দীর্ঘ তদন্তে টাঙ্গাইলের খান পরিবারের চার সন্তান আমানুর রহমান খান রানা, জাহিদুর রহমান খান কাকন, সহিদুর রহমান খান মুক্তি ও সানিয়াত খান বাপ্পা এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত বলে তথ্য উপাত্ত পেয়েছে। এ ছাড়া গ্রেপ্তার হওয়া আসামিরা হত্যাকাণ্ডে চার ভাইয়ের সম্পৃক্ততার কথা উল্লেখ করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। তার পর থেকে চার ভাই আত্মগোপনে রয়েছেন।
নাহার আহমেদ সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে পর্যাপ্ত তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করে মামলার অভিযোগপত্র দাখিলের দাবি জানান। খুনিচক্র নানা ভাবে বিভ্রান্তি সৃষ্টির মাধ্যমে এবং ফারুক হত্যার বিচারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন সংবাদ সম্মেলনে।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক শরিফ হাজারী, জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি শওকত রেজা, জার্মান আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক তানভীরুল ইসলাম ছোট মনিসহ আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা আওয়ামী লীগ নেতা বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদকারী মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদকে ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি শহরের কলেজপাড়ায় নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। পরে নিহত ফারুকের স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদী হয়ে টাঙ্গাইল মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন।