টেঁটাযুদ্ধ বন্ধে সচেতনতামূলক প্রচারণা
নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার চরাঞ্চলে সংঘর্ষ ও টেঁটাযুদ্ধ বন্ধে স্থানীয় বাসিন্দাদের নিয়ে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো হয়েছে।
গতকাল বুধবার দুপুরে স্থানীয় সংসদ সদস্য (এমপি) এবং সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজুর ব্যক্তিগত উদ্যোগে নীলক্ষা আবুল হোসেন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ প্রচারণা চালানো হয়।
ওই সময় নীলক্ষা ইউনিয়নের শত শত গ্রামবাসী উপস্থিত ছিলেন।
প্রচারণার সময় নীলক্ষা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন ফরাজীর সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন রায়পুরা উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান চৌধুরী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবদুল মতিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হাজি আবদুস ছাত্তার, সাধারণ সম্পাদক আবদুস ছাদেক, আওয়ামী লীগ নেতা ইমান উদ্দিন ভূঁইয়া, পৌর মেয়র জামাল মোল্লা, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ মাহবুব আলম শাহীন, রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি- তদন্ত) মাজহারুল ইসলাম, নীলক্ষা ইউপি চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ নেতা আল আমিন ভূঁইয়া মাসুদ প্রমুখ।
প্রচারণার সময় সাবেক মন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু বলেন, কিছু মানুষের স্বার্থের জন্য বারবার রক্তাক্ত হচ্ছে নীলক্ষা। স্বার্থের জন্য নীলক্ষায় টেঁটা ও অস্ত্রের মহড়া চলছে। মরছে নিরীহ মানুষ। কিছু স্বার্থান্বেষী লোকের জন্য নীলক্ষার সাধারণ মানুষ অশান্তি ভোগ করবে, সেটা মেনে নেওয়া যায় না।
রাজু স্থানীয় বাসিন্দাদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনাদের কাছে আমার অনুরোধ, ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া করার সুযোগ দিন। বাচ্চাদের হাতে টেঁটা-বল্লম তুলে দেবেন না। অবিলম্বে এই টেঁটাযুদ্ধ বন্ধ না করলে গ্রামে ১৪ থেকে ৬৫ বছর বয়সের কোনো পুরুষকে থাকতে দেওয়া হবে না।’
গত সোমবার রায়পুরা উপজেলার নীলক্ষা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন ও এলাকার আধিপত্য নিয়ে বর্তমান চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম ও সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হক সরকারের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়। এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি।
সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে আহত হন রায়পুরা থানার ওসি আজহার উদ্দিন, এসআই আসাদ, এসআই জিয়া, তোফাজ্জল ও দুজন কনস্টেবল। তাঁরাসহ উভয় পক্ষের ৫০ জন আহত হয়।