থানা থেকে আসামির পলায়ন, দাবি পুলিশের
যশোর কোতোয়ালি থানা থেকে অস্ত্র ও বিস্ফোরক মামলার আসামি পালিয়ে গেছেন বলে পুলিশ দাবি করেছে। তাঁর নাম নূর নবী মোশফেক সোহেল (২৫)।
এ ঘটনায় থানার দুই পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। সোহেলের স্বজনরা বলছেন, পুলিশের এ দাবি সত্য নয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত রোববার দুপুর ১২টার দিকে যশোর সদর উপজেলার রাজারহাট কচুয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) ৬-এর যশোর ক্যাম্পের সদস্যরা সোহেলকে আটক করেন। গতকাল মঙ্গলবার বেলা দেড়টার দিকে র্যাব তাঁকে যশোর কোতোয়ালি থানায় হস্তান্তর করে।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইলিয়াস হোসেন বলেন, আজ বুধবার সকালে যশোর সার্কিট হাউসে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের অবস্থান করছিলেন। সেখানে থানার সব কর্মকর্তা ডিউটিতে ব্যস্ত ছিলেন। সকাল সোয়া ১০টার দিকে সোহেলকে থানাহাজত থেকে বের করা হয় আদালত নেওয়ার জন্য। এরই মধ্যে থানা থেকে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে তিনি পালিয়ে যান।
ওসি বলেন, কর্তব্যে অবহেলার দায়ে থানার ডিউটি অফিসার এসআই এস এম শামীম এবং কনস্টেবল আকরাম হোসেনকে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে। থানার এসআই শামিম বাদী হয়ে এ ব্যাপারে একটি মামলা করেছেন।
এদিকে, সোহেলের ভগ্নিপতি টিবি ক্লিনিক এলাকার ফার্নিচার ব্যবসায়ী মোহাম্মদ হাসান সাংবাদিকদের বলেন, তিনি আজ সকালে থানা হাজতে সোহেলকে দেখেছেন। তাঁর উঠে দাঁড়ানোর মতো অবস্থা ছিল না। এ অবস্থায় একজন আসামি থানা থেকে পালিয়ে যাবে, এ কথা বিশ্বাসযোগ্য নয়। সোহেলের বাড়ি যশোর শহরের বেজপাড়া টিবি ক্লিনিক এলাকায়।
কোতোয়ালি থানার উপপপরিদর্শক (এসআই) মিরাজ মোসাদ্দেক বলেন, সোহেলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক, অস্ত্র, চাঁদাবাজি ও ছিনতাই মামলার চারটি ওয়ারেন্ট আছে। এ ছাড়া সব মিলিয়ে প্রায় এক ডজন মামলার আসামি সোহেল। তিনি দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিলেন।