এমপি বদির খালাস : কাল আপিল করবে দুদক
জ্ঞাত আয় বহিভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তিন বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি কক্সবাজার-৪ (উখিয়া- টেকনাফ) আসনের সাংসদ আবদুর রহমান বদি অবৈধ সম্পদ অর্জনের যে মামলায় খালাস পেয়েছেন, তাঁর বিরুদ্ধে আপিল করবে দুর্নীতি দমন কমিশন।
আজ বুধবার এনটিভি অনলাইনকে দুদকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান জানান, আগামীকাল বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আপিল দায়ের করা হবে।
খুরশিদ আলম খান আরো জানান, সাংসদ বদির বিরুদ্ধে দুদক দুটি মামলা করেছিল। এগুলোর জ্ঞাত আয় বহির্ভূত মামলায় তিন বছরের সাজা হয়েছে তাঁর। কিন্তু অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় তাঁকে খালাস দিয়েছিলেন বিচারিক আদালত। তিনি বলেন, ‘আমরা রায়ের কপি সংগ্রহ করেছি। রায় পর্যালোচনা করে আগামীকাল হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আপিল করব।’
গত ২ নভেম্বর আবদুর রহমান বদিকে তিন বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আবু আহমেদ জমাদার। একই সঙ্গে তাঁকে ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরো তিন মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। যদিও এ মামলায় আজ হাইকোর্ট তাঁকে ছয় মাসের জন্য অন্তবর্তীকালীন জামিন দেন।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়,আবদুর রহমান বদি জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ১০ কোটি ৮৬ লাখ ৮১ হাজার ৬৬৯ টাকা মূল্যমানের সম্পদ গোপন করে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন।
এ ছাড়া অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদের বৈধতা দেখানোর জন্য কম মূল্যে সম্পদ ক্রয় দেখিয়ে এক কোটি ৯৮ লাখ তিন হাজার ৩৭৫ টাকা বেশি মূল্যে বিক্রি দেখিয়েছেন।
এসব অভিযোগে দুদকের উপপরিচালক মো. আবদুস সোবহান রমনা থানায় ২০১৪ সালের ২১ আগস্ট মামলা করেন।
এ ঘটনায় গত বছরের ৭ মে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক মঞ্জিল মোর্শেদ ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের (সিএমএম) আদালতে বদির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগপত্রে আবদুর রহমান বদির বিরুদ্ধে ছয় কোটি ৩৩ লাখ ৯৪২ টাকার অবৈধ সম্পদের তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। এর মধ্যে বলা হয়েছে তিনি দুদকের কাছে তিন কোটি ৯৯ লাখ ৫৩ হাজার ২৭ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন।
মামলাটিতে বদি ২০১৪ সালের ১২ অক্টোবর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের (সিএমএম) আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। বিচারক জামিন নাকচ করে তাঁকে কারাগারে পাঠানো আদেশ দেন। পরবর্তী সময়ে ২০১৪ সালের ২৭ অক্টোবর এমপি বদিকে ছয় মাসের জামিন দেন বিচারপতি সৈয়দ এ বি মাহমুদুল হক ও বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ।