শিল্পপতি রাগীব আলীর ছেলে কারাগারে

শিল্পপতি রাগীব আলীর ছেলে আবদুল হাইকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। জামিন আবেদন নাকচ করে আজ শনিবার সন্ধ্যায় সিলেট মুখ্য মহানগর হাকিম সাইফুজ্জামান হিরু এ আদেশ দেন।
পুলিশের সহকারী কমিশনার আবদুল আহাদ জানান, আবদুল হাইয়ের পক্ষে আদালতে জামিন আবেদন করেন অ্যাডভোকেট মঈনুল ইসলাম।
সিলেটের তারাপুর চা বাগান দখলে ভূমি জালিয়াতি ও প্রতারণার মামলায় পলাতক শিল্পপতি রাগীব আলীর ছেলে আবদুল হাইকে আজ দুপুরে জকিগঞ্জ সীমান্ত থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তিনি পলাতক ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করা হয়েছিল।
জাল কাগজপত্রের মাধ্যমে তারাপুর চা বাগানের দেবোত্তর সম্পত্তিতে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের মাধ্যমে হাজারকোটি টাকার ভূমি আত্মসাৎ এবং প্রতারণার আলোচিত দুটি মামলায় রাগীব আলী ও তাঁর ছেলেমেয়েসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে গত ১০ আগস্ট গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের স্মারক (চিঠি) জালিয়াতির মামলায় রাগীব আলী ও তাঁর ছেলে আবদুল হাইয়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
অন্যদিকে প্রতারণার মামলায় রাগীব আলী, তাঁর ছেলে আবদুল হাই, জামাতা আবদুল কাদির, মেয়ে রুজিনা কাদির, রাগীব আলীর আত্মীয় মৌলভীবাজারের দেওয়ান মোস্তাক মজিদ, তারাপুর চা বাগানের সেবায়েত পঙ্কজ কুমার গুপ্তের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
তবে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পরপরই ছেলেকে নিয়ে ভারতে পালিয়ে যান রাগীব আলী। এ ছাড়া মামলার আসামি রাগীব আলীর আত্মীয় দেওয়ান মোস্তাক মজিদ গত ১০ অক্টোবর আদালতে আত্মসমর্পণ করার পর তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।
৪২২ দশমিক ৯৬ একর জায়গার ওপর তারাপুর চা বাগান পুরোটাই দেবোত্তর সম্পত্তি। আশির দশকে জালিয়াতির মাধ্যমে এটি দখলে নেন রাগীব আলী। এই নিয়ে চলা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আদালতে একটি রিট পিটিশনের ভিত্তিতে গত ১৯ জানুয়ারি তারাপুরে রাগীব আলীর দখলদারিত্বকে অবৈধ ঘোষণা করেন আপিল বিভাগ।