ইলিশ ধরতে গিয়ে মিলল ঘড়িয়াল
ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার চর হাজিগঞ্জ এলাকার পাশ দিয়ে বহমান পদ্মা নদীতে জেলেদের জালে ধরা পড়েছে বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির একটি ঘড়িয়াল।
গতকাল শুক্রবার বিকেল ৪টায় উপজেলার মধ্য শালেপুরের বাসিন্দা শেখ মোতালেবের ছেলে জাহাঙ্গীর (৩০) পদ্মা নদীতে ইলিশ মাছ ধরতে গেলে তাঁর জালে ধরা পড়ে প্রায় পাঁচ ফুট লম্বা এই প্রাণী। স্থানীয় রেজাউল ও ফারুকের সহযোগিতায় ঘড়িয়াল তুলে রাতেই নৌকাতেই রাখেন। আজ শনিবার সকালে হাজিগঞ্জ বাজারে আনলে উৎসুক জনতা এটি দেখতে ভিড় জমায়।
স্থানীয় লোকজন জানান, জাহাঙ্গীরের জালে ঘড়িয়াল ধরা পড়লে তিনি বিষয়টি চরভদ্রাসনের বাসিন্দা ফরিদপুর সরকারি ইয়াছিন কলেজের সাবেক ভিপি মোশাররফ হোসেনকে (ভিপি মোসা) জানান। মোশাররফ প্রথমে মুঠোফোনে বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে জানানোর চেষ্টা করেন। যোগাযোগ করতে না পেরে আজ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যোগাযোগ করেন। সকালে ঘড়িয়ালটি হাজিগঞ্জ বাজারে আনার পর তা নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মনদীপ ঘড়াইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এনডিসি মনদীপ ঘড়াই জানান, জেলা প্রশাসকের নির্দেশক্রমে প্রাণীটি বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পরে বন বিভাগ প্রাণীটিকে নদীতে ছেড়ে দিয়েছে।
ফরিদপুর বন বিভাগের কর্মকর্তা নির্মল কুমার জানান, ঘড়িয়ালটির দৈর্ঘ্য ছিল পাঁচ ফুট। প্রস্থ দেড় ফুট। ওজন আনুমানিক ১৫ কেজি। দুপুরে ফরিদপুর শহরের ধলার মোড় এলাকায় পদ্মা নদীতে ঘড়িয়ালটি ছেড়ে দেওয়া হয়।
ঘড়িয়াল দেখতে কুমিরের মতো। নিরীহ এই প্রাণী একসময় পদ্মা ও যমুনা নদীতে প্রচুর পাওয়া যেত। মানুষ কুমির ভেবে মারার কারণে প্রাণীটি এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে।
এর আগে গতকাল শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে চরভদ্রাসন উপজেলার চর হরিরামপুর ইউনিয়নের পদ্মা নদীতে এক মাছ শিকারির বড় ফাঁস জালে ৩২ কেজি ওজনের একটি কাতল মাছ ধরা পড়ে। পরে উপজেলা সদরের বাজারে মাছটির দাম হাঁকা হয় ৩০ হাজার টাকা। স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী জালাল মাছটি ২৫ হাজার ৫০০ টাকায় কিনে নেন। সন্ধ্যায় তাঁর কাছ থেকে মাছটি ২৮ হাজার টাকা দিয়ে কেনেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-প্রচার সম্পাদক মোতালেব মোল্লা।