রামেক ভবনে বাঁশ ব্যবহারে ত্রুটি হয়নি, দাবি প্রকৌশলীর
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের নতুন চারতলা ভবনে লিফটের পাশে বাঁশ ব্যবহারে কোনো ত্রুটি হয়নি বলে দাবি করেছেন গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান মুন্সী। আজ বুধবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তিনি এ কথা বলেন।
প্রকৌশলী বলেন, ‘সাধারণত বাসাবাড়িতে বহুতল ভবনের লিফটের পাশে রাখা ফাঁকা জায়গায় ভালো মানের কাঠ ব্যবহার করা হয়। আর অফিসে ব্যবহার করা হয় ইস্পাতের পাত। তবে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে লিফটের পাশে বাঁশ ব্যবহারে কোনো ত্রুটি হয়নি। মূল ভবনের সঙ্গে এ বাঁশের কোনো সম্পর্ক নেই। এরপরও এ ঘটনায় কারো দায়িত্বে অবহেলার বিষয়টি তদন্তে বেরিয়ে এলে আমরা তাঁর বিরুদ্ধে যথায়থ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
রামেক হাসপাতালের নতুন ভবনে লিফটের পাশে বাঁশের বাতা ব্যবহার নিয়ে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হলে তোলপাড় শুরু হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে আজ দুপুরে গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী ঘটনাস্থল সরেজমিন পরিদর্শন করেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আইনুল ফরহাদ, রাজশাহী বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী শফিতুর রহমান, অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (ডিজাইন) আহসান হাবীব, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (অডিট অ্যান্ড মনিটরিং) আবদুল মোমিন, রাজশাহী গণপূর্ত বিভাগ ২-এর নির্বাহী প্রকৌশলী লতিফুল ইসলামসহ আরো কয়েকজন প্রকৌশলী।
এর আগে ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর রাজশাহী গণপূর্ত বিভাগের প্রকৌশলীরা দাবি করেছিলেন, রামেক হাসপাতাল ভবনের লিফটের পাশ থেকে বাঁশ বের হলেও এ ঘটনায় কোনো নিরাপত্তার ঝুঁকি নেই।
রাজশাহী গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী-২ লতিফুল ইসলাম বলেন, এটি কোনো সমস্যা নয়। মূল ভবনের মেঝে বরাবর লিফটের সংযোগ স্থাপনে সামান্য ফাঁকা রাখা হয়। এটি নিয়ম। এই ফাঁকা জায়গাটি ঢালাই করে দেওয়া হলে লিফটের রক্ষণাবেক্ষণে সমস্যা হয়। প্রকৃতপক্ষে রামেক হাসপাতালের নতুন ভবনের ফ্লোর এবং লিফটের দরজার মধ্যে দুই ইঞ্চি পরিমাণ জায়গা আছে। সেখানে বাঁশের বাতার সাপোর্ট দিয়ে টাইলস বসানো হয়েছিল। ব্যবহারজনিত কারণে টাইলস ভেঙে যাওয়ায় সাটার দেখা যাচ্ছিল। এটি কোনোভাবেই কাঠামোগত কোনো ত্রুটি নয়। এর সঙ্গে মূল ভবনের কোনো সম্পর্কই নেই।
২০০৮ সালে প্রায় ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে ভবনটি নির্মাণ করেছে গণপূর্ত অধিদপ্তর। এরপর ২০১২ সালের ১৭ জুলাই তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. আ ফ ম রুহুল হক রামেক হাসপাতালের নতুন ভবনটির উদ্বোধন করেন। চারতলা এ ভবনটি নির্মাণ করা হয় রামেক হাসপাতালের পুরোনো ভবনগুলোর ঠিক মাঝখানে।