মাদারীপুরে আ. লীগ সমর্থকের বাড়িতে হামলা
মাদারীপুর সদর উপজেলার ঘটমাঝি ইউনিয়নের কুন্তিপাড়া গ্রামে আওয়ামী লীগের এক সমর্থকের পাঁচটি ঘরে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। আজ সোমবার বেলা ১২টার দিকে ওই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ভোট চলাকালে এই ঘটনা ঘটে।
এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হলেও নির্বাচন কেন্দ্রের বাইরে কয়েকটি স্থানে উত্তেজনা বিরাজ করছে। তবে কেন্দ্রগুলোতে কঠোর নিরাপত্তায় সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বেলা ১২টার দিকে কুন্তিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে গ্রামের আওয়ামী লীগ সমর্থক মালেক হাওলাদারের বাড়ির পাঁচটি ঘরে আগুন ধরিয়ে দেন স্বতন্ত্র প্রার্থী বাদল ফকিরের সমর্থকরা। হামলাকারীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বাড়িঘরে ব্যাপক ভাঙচুর করে। তারা বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ করে এবং দুটি গরুসহ মূল্যবান মালামাল লুট করে। এ সময় নারীদের ওপরও হামলার ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। ওই এলাকায় দুই পক্ষ অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অবস্থান নিয়েছে। তবে ভোটকেন্দ্রগুলোতে বিপুলসংখ্যক বিজিবি, র্যাব ও পুলিশের উপস্থিতিতে সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ চলছে।
জেলা ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. রাজীব হোসেন বলেন, ‘নির্বাচন চলার সময় মাঝখানে একটু উত্তেজনা চলছিল। দুই পক্ষই মুখোমুখি অবস্থান করছিল। আমরা সংবাদ পেয়ে পর্যাপ্ত সংখ্যক ফোর্সসহ অবস্থান করছি। এখন আপাতত কোথাও কোনো সমস্যা নেই।’
দ্বিতীয় দফা ইউপি নির্বাচনে ভোট জালিয়াতি ও অনিয়মের অভিযোগে মাদারীপুর সদর উপজেলার ঘটমাঝি ও কালকিনি উপজেলার আলীনগর ইউপির সাতটি ওয়ার্ডে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়। এর মধ্যে ঘটমাঝিতে চেয়ারম্যান পদে ও আলীনগরে ইউপি সদস্য এবং সংরক্ষিত সদস্য পদে আজ ভোটগ্রহণ করা হয়। এতে সাতটি ওয়ার্ডে সাতটি কেন্দ্রের ৪৭টি বুথে ভোটাররা ভোট দেন। প্রতিটি ওয়ার্ডে একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ, আনসার, দুই প্লাটুন বিজিবি, র্যাব ও স্ট্রাইকিং ফোর্স মোতায়েন রয়েছে।
ঘটমাঝি ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর চেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রায় এক হাজার ৭০০ ভোটে এগিয়ে রয়েছে। ফলে অনেকটা হাড্ডিহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে এই ইউপিতে। এখানের তিনটি ওয়ার্ডে ভোটার সংখ্যা পাঁচ হাজার ৪১২ জন।