আয়া-পিয়ন দিয়ে চিকিৎসা, গ্যারেজে রোগ নির্ণয়!
নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলা সদরের ইসলামিয়া ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং মেছের হোমিও হল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। চিকিৎসার নামে অপচিকিৎসা ও অপরিছন্ন-নোংরা পরিবেশে চিকিৎসা দেওয়ার অভিযোগে আজ সোমবার বিকেলে নওগাঁর সিভিল সার্জন ডা. এ কে এম মোজাহার হোসেন ওই দুটি সেবাকেন্দ্র পরিদর্শন শেষে এই আদেশ দেন।
সিভিল সার্জন জানান, ইসলামিয়া ক্লিনিকের মালিক এস এম নাজিম বাবু ১০ শয্যার ক্লিনিকের অনুমোদন নিয়ে ২৭ শয্যা বসিয়ে অত্যন্ত নোংরা পরিবেশে চিকিৎসার নামে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন। ওই ক্লিনিকে সার্বক্ষণিক একজন এমবিবিএস ডিগ্রিধারী চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও ক্লিনিকে ওই সময় কাউকে পাওয়া যায়নি। এমন কি কোনো চিকিৎসকই নেই। আয়া-পিয়ন দিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ক্লিনিকে টিনশেডের গ্যারেজে রোগ নির্ণয়কেন্দ্র (ডায়াগনস্টিকস্টিক কেন্দ্র স্থাপন করে রোগী প্যাথলজি রিপোর্ট তৈরি করা হচ্ছে। ওই সেন্টারে কোনো প্যাথলজিস্ট বা টেকনিশিয়ান খুঁজে পাওয়া যায়নি।
একই সময়ে সিভিল সার্জন পত্নীতলা শহরের মেসের হোমিও হলে পরিদর্শন করে দেখতে পান, সেখানে হোমিও ওষুধের চেয়ে আয়ুর্বেদিক ওষুধই বেশি। সেখানে আবার সর্বরোগের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
সিভিল সার্জন ডা. এ কে এম মোজাহার হোসেন জানান, একজন হোমিও চিকিৎসক শুধু হোমিও চিকিৎসা দেবেন। অন্য কোনো চিকিৎসা দেওয়া অপরাধ। এই কারণে ওই হোমিও হল এবং ইসলামিয়া ক্লিনিক বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
এদিকে জেলার মহাদেবপুর উপজেলার কলাবাগান এলাকায় ভুয়া হাড়-জোড় বিশেষজ্ঞ সেজে ইজবর আলী নামের এক ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসা দিয়ে আসছেন। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁর চেম্বারে গেলে কথিত ওই চিকিৎসক চেম্বার ছেড়ে প্রাচীর টপকে পালিয়ে যান।