খাগড়াছড়ির তিন ইউনিয়নে ১১০ প্রার্থীকে জরিমানা
খাগড়াছড়ি জেলার নবঘোষিত গুইমারা উপজেলার তিন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রচার প্রচারণায় নির্বাচন আচরণ বিধি লঙ্ঘনের মহোৎসব চলছে যেন। ভোটার এবং সাধারণ জনগণের ব্যাপক অভিযোগের পর অবশেষে এ ব্যাপারে অভিযানে নেমেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ রোববার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা অভিযান চালিয়ে তিন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, সংরক্ষিত ও সাধারণ সদস্য পদে মোট ১১৩জন প্রার্থীর মধ্যে ১১০ জন প্রার্থীকে ৫ হাজার টাকা করে পাঁচ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। বাকি তিনজন প্রার্থীর মধ্যে দুজন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী ও অপর একজন প্রার্থী কোনো প্রকার পোস্টারিং না করায় তাঁরা ভ্রাম্যমাণ আদালতের আওতা মুক্ত ছিলেন।
এ ব্যাপারে রামগড় উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এবং গুইমারা ও সিন্ধুকছড়ি দুই ইউনিয়নের রিটার্নিং অফিসার মো. রিপন হোসেন অভিযান পরিচালনা ও জরিমানা আদায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
রিপন হোসেন জানান, মাটিরাঙা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রায়হানুল হারুন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এ সময় রামগড় উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. রিপন হোসেন, হাফছড়ি ইউনিয়নের রিটার্নিং অফিসার আনোয়ার হোসেন, গুইমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জুবায়েরুল হক উপস্থিত ছিলেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রায়হানুল হারুন জানান, নির্বাচনকে ঘিরে উৎসাহ উদ্দীপনার মাঝে বেশ কজন প্রার্থী মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা, শো-ডাউন, মিছিল, গণসংযোগসহ দেয়ালে পোস্টার লাগিয়ে আচরণ বিধি লঙ্ঘন করছিলেন। দুইদিন আগে তাঁদের নিয়ে মিটিং করে আচরণবিধি মেনে চলতে উপদেশ দেওয়া হয়েছিল। তাঁরা কথা দিয়েছিলেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দেয়ালে বা বিভিন্ন বাড়িতে লাগানো সব পোস্টার সরিয়ে নেবেন। কিন্তু ২৪ ঘণ্টা অতিবাহিত হওয়ার পরও প্রতিশ্রুতি রক্ষা না করায়, ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাঁদের জরিমানা করা হলো।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রায়হানুল হারুন আরো জানান, দেয়ালে পোস্টার সাঁটানোসহ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন আচরণবিধি ২০০৬-এর ২ ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগে শাস্তিমূলক এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আগামীকাল সোমবার বেলা ১২টার মধ্যে দেয়ালসহ বাসাবাড়ি, দোকানপাটে সাঁটানো নির্বাচনী প্রচারণার পোস্টার সরিয়ে নিতে প্রার্থীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যথায় তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।