কেশবপুরের আতাউরকে আঘাত করে হত্যা করা হয়েছিল
যশোরের কেশবপুর উপজেলার আতাউর রহমানকে হত্যা করা হয়েছিল। মাথায় আঘাতজনিত কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। সিভিল সার্জন ডা. গোপেন্দ্র নাথ আচার্য এই মতামত উল্লেখ করেন।
গত ৩ অক্টোবর কেশবপুরের পাজিয়া ইউনিয়নের মনোহরনগর গ্রামের বাবুর আলী সরদারের ছোট ছেলে আতাউর রহমানের (৩৩) লাশ মনোহরনগর বিলের আবদুর রাজ্জাক সরদারের মাছের ঘের থেকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের ভাই সোহরাব হোসেন সিন্টু সরদার বাদী হয়ে কেশবপুর থানায় মামলা করেন।
পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ৪ অক্টোবর যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। মামলায় সন্ধিগ্ধ আসামি হিসেবে পুলিশ মনোহরনগর গ্রামের আবদুর রাজ্জাক সরদার ও একই গ্রামের হাফিজুর রহমান লাঙ্গলকে আটক করে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) ফকির ফেরদৌস হোসেন আসামিদের সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন জানালে আদালত দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ডে আনা হলেও পুলিশ তাদের কাছ থেকে হত্যার কোনো তথ্য উদ্ধার করতে পারেনি।
তদন্ত কর্মকর্তা জানান, রিমান্ডে আনা আসামি আবদুর রাজ্জাক জ্বরে আক্রান্ত হওয়ায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা যায়নি।
এদিকে হত্যাকাণ্ডের ১৮ দিন পার হলেও হত্যাকারী শনাক্ত না হওয়ায় নিহতের পরিবারসহ এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।