ভালুকায় অ্যাম্বুলেন্স থেকে নারীর লাশ উদ্ধার
ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায় অ্যাম্বুলেন্স থেকে তাছলিমা আক্তার (৩০) নামের এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শনিবার উপজেলার ভরাডোবা গ্রামে এ ঘটনায় পুলিশ অ্যাম্বুলেন্সসহ চালককে আটক করেছে।
তাছলিমা ওই গ্রামের তাজউদ্দিনের মেয়ে এবং গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলায় তাপুরিয়া চালার তোতা মিয়ার ছেলে গুলজার হোসেনের স্ত্রী। ময়নাতদন্তের জন্য তাঁর লাশ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ জানায়, গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় ভরাডোবা গ্রামে তাছলিমার প্রতিবেশী মিন্টু ময়মনসিংহ মেডিকেল থেকে তাঁর লাশ অ্যাম্বুলেন্সে করে বাবার বাড়ির কাছে নিয়ে যান। এরপর তিনি নিহত তাছলিমার ছেলে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র তুষারকে কোচিং সেন্টার থেকে ডেকে এনে তার মায়ের লাশ দেখায়। পরে সেখান থেকে মিন্টু পালিয়ে যান। তুষার তার নানার বাসায় খবর দিলে লোকজন এসে মিন্টুকে খুঁজে পাননি। কীভাবে তাছলিমার মৃত্যু হয়েছে এ ব্যাপারে অ্যাম্বুলেন্স-চালককে জিজ্ঞেস করলে তিনিও কিছু বলতে পারেননি। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ অ্যাম্বুলেন্সসহ চালককে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
তাছলিমার পরিবার জানায়, প্রায় ১৫ বছর আগে গুলজার হোসেনের সঙ্গে তাছলিমার বিয়ে হয়। পারিবারিক কলহের জেরে বেশ কিছু দিন আগে তাছলিমা তাঁর স্বামীর কাছ থেকে আলাদা হয়ে দুই সন্তান তুষী ও তুষারকে নিয়ে গাজীপুরে ভাড়া বাসায় থাকতেন। কয়েক দিন আগে তাছলিমা তাঁর দুই সন্তানকে ভালুকায় তাঁর বাবার বাড়ি রেখে যান।
তুষারকে ভালুকার একটি কোচিং সেন্টারে ভর্তি করা হয়। মাঝেমধ্যে সন্তানদের দেখতে তিনি ভালুকায় যেতেন। তাছলিমা তাঁর বাবার কাছ থেকে প্রাপ্য জমি বিক্রি করে ১২ লাখ টাকা নিয়ে আবারও গাজীপুর চলে আসেন। এর পর থেকে তাছলিমার সঙ্গে সন্তান ও পরিবারের কোনো যোগাযোগ ছিল না।
চালক শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘মিন্টু তাছলিমার আত্মীয় পরিচয় দিয়ে লাশ ভালুকায় আনার জন্য অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে। আমার ভাড়ার টাকাও পরিশোধ করেছে। তবে মিন্টুর সঙ্গে অনেক টাকা ছিল।’
ভালুকা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মিরাজ বলেন, ‘মিন্টুকে আটকের চেষ্টা চালাচ্ছি। তাঁকে আটক ও ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মূল ঘটনা জানা যাবে।’