নীলফামারীর হাসপাতালে জলাতঙ্ক প্রতিষেধকের সংকট

নীরফামারীতে আধুনিক সদর হাসপাতালে জলাতঙ্ক রোগের প্রতিষেধকের (ভ্যাকসিন) সংকট দেখা দিয়েছে। এতে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে এ রোগে আক্রান্ত রোগীরা।
বেশ কিছু দিন জেলা শহরে বেওয়ারিশ কুকুর নিধন বন্ধ রয়েছে। এর ফলে এ সব কুকুরের সংখ্যা বেড়ে গেছে। এই কুকুরের কামড়েই জলাতঙ্ক রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। রোগীরা বলেছে, হাসপাতালে প্রতিষেধক না পেয়ে চড়া দামে খোলা বাজার থেকে কিনতে হচ্ছে। আবার অনেকের পক্ষে এ ব্যয় বহন করা সম্ভব হচ্ছে না।
অনেক রোগী আবার আক্ষেপ করে বলেছে, অনেক সময় হাসপাতাল থেকে অর্ধেক (হাফ কোর্স) প্রতিষেধক দেওয়া হয়। বাকি প্রতিষেধক বাইরে থেকে সংগ্রহের কথা বলা হয়। এভাবে তাদের আরো বেশি হয়রানিতে পড়তে হচ্ছে।
এ ব্যাপারে পৌর কর্তৃপক্ষ জানায়, আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকায় বেওয়ারিশ কুকুর নিধন অভিযান বন্ধ রাখা হয়েছে।
এ ব্যাপারে হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক মো. হাসিনুর রহমান বলেন, পৌর কর্তৃপক্ষ যে প্রতিষেধক সরবরাহ করে তা চাহিদার তুলনায় খুবই কম। এতে চলে মাত্র ৭ থেকে ১০ দিন।
নীলফামারী পৌরসভার সচিব মো. মশিউর রহমান বলেন, ‘কুকুর নিধনের জন্য আমাদের কোনো জনবল নেই। কুকুর নিধনের জন্য ঢাকার রোগ নিয়ন্ত্রণ ও জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তর মহাখালী থেকে লোক এসে বেওয়ারিশ কুকুর নিধন করত। কিন্তু সেখানেও জনবলের সংকট রয়েছে।
নীলফামারী পৌরসভার মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ বলেন, ‘জীব হত্যায় আদালতের রুল থাকায় আমরা নিরুপায়। কোনো রকম পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।’