জঙ্গিবাদ দমনে চলচ্চিত্র শক্তিশালী হাতিয়ার : তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, দেশে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনের চলমান যুদ্ধে চলচ্চিত্র শক্তিশালী হাতিয়ার। এটি মানুষকে সচেতন করতে সহায়তা করে, ঐক্যবদ্ধ করতে সহায়তা করে। আর সবার ঐক্যবদ্ধ লড়াই ছাড়া সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নির্মূল করা সম্ভব নয়।
আজ সোমবার বিকেলে রাজশাহী শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জঙ্গি ও সন্ত্রাসবিরোধী চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। রাজশাহী ফিল্ম সোসাইটি ও ঋত্বিক ঘটক ফিল্ম সোসাইটি যৌথভাবে তিন দিনব্যাপী এ চলচ্চিত্র উৎসবের আয়োজন করেছে।
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, জঙ্গিবাদ খারাপ, জঙ্গিদের সঙ্গীরাও খারাপ। জঙ্গিদের আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতারাও খারাপ। সুতরাং জঙ্গিবাদকে ছাড় দিতে না চাইলে জঙ্গিদের সঙ্গীদেরকেও ছাড় দেওয়া যাবে না। তাই দেশে নির্মিত সমসাময়িক চলচ্চিত্রে শুধু জঙ্গিদের কর্মকাণ্ড তুলে ধরলেই হবে না, সমাজে জনপ্রতিরোধ গড়ে তুলতে জঙ্গিদের সঙ্গীদের কর্মকাণ্ডও তুলে ধরতে হবে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাঁধেন, চুলও বাঁধেন। তাঁর নেতৃত্বে সারাদেশে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। সাধারণ মানুষ আজ রুখে দাঁড়িয়েছে। রাজশাহীতে জঙ্গিবাদবিরোধী চলচ্চিত্র উৎসব তারই প্রমাণ। আমরা জঙ্গিদের খুঁজে খুঁজে ধরব, কারাগারে পুরব। তাদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। মুক্তিযুদ্ধে অর্জিত এ বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের কোনো ঠাঁই নেই।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও রাজশাহী সদর আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, জঙ্গিবাদ দেশ, জাতি ও মানবতার শত্রু। চলচ্চিত্রের মতো একটি শক্তিশালী গণমাধ্যমকে নিয়ে রাজশাহীর মানুষ জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে নেমেছেন। এ চলচ্চিত্র উৎসব একটি দাবানলে পরিণত হবে, যে দাবানলে জঙ্গিরা ভস্মীভূত হবে।
অনুষ্ঠানে ঋত্বিক ঘটক ফিল্ম সোসাইটির সভাপতি ডা. এফ এম এ জাহিদের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য দেন রাজশাহী ফিল্ম সোসাইটির সভাপতি আহসান কবীর লিটন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হোসেন মাসুদ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে জঙ্গিবাদবিরোধী প্রামাণ্যচিত্র ও চলচ্চিত্র প্রদর্শন শুরু হয়। এর আগে বিকেল ৫টায় তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধন করেন।
উৎসবের উদ্বোধনীতে দেখানো হয় তারেক মাসুদ পরিচালিত পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘রানওয়ে’।
মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত প্রদর্শিত হবে আলো আঁধারের যাত্রী (প্রমাণ্যচিত্র), আলোর দেখা (স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র), জঙ্গিবাদ সর্বনাশা (প্রমাণ্যচিত্র), ফানুস (স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র), যদি সে জানতো (স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র) এবং দ্য আলটিমেট জিহাদ (প্রমাণ্যচিত্র)।
উৎসবের শেষ দিন বুধবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত প্রদর্শিত হবে মুখোশ (স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র), ইন দ্য ডার্ক (স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র) ও অপেক্ষা (পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র)।