কাঁঠালিয়ার ওসির বিরুদ্ধে জমি দখলে সহযোগিতার অভিযোগ
প্রতিপক্ষের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে এক রাজমিস্ত্রির ৫০ শতাংশ জমি দখলে সহযোগিতার অভিযোগ পাওয়া গেছে ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদ হোসেনের বিরুদ্ধে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঝালকাঠি প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন কাঁঠালিয়া উপজেলার উত্তর চড়াইল গ্রামের রাজমিস্ত্রি মো. আলম মীর।
শুধু জমি দখলই নয়, বিরোধীয় ওই সম্পত্তিতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পাকা ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। ওসি নিজে দাঁড়িয়ে থেকে ভবন নির্মাণ ও জমি দখলে সহযোগিতা করেন। এমনকি এতে বাধা দিলে ওই রাজমিস্ত্রির নামে কাঁঠালিয়াসহ দেশের বিভিন্ন থানায় ওসি মামলা দায়েরের হুমকি দিচ্ছেন বলেও সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়েন ক্ষতিগ্রস্ত মো. আলম মীর। তিনি দাবি করেন, কাঁঠালিয়া উপজেলার ২৬ নম্বর উত্তর চড়াইল মৌজার ২০১ নম্বর এসএ খতিয়ানের ১৮ নম্বর দাগের ১০৯ শতাংশ জমির মধ্যে ৫০ শতাংশ জমি নিয়ে প্রতিবেশী আবদুল হাকিম মাস্টারের সঙ্গে তাঁর বিরোধ চলছে। ২০১৩ সালে বিরোধীয় জমিতে গাছ কাটার অভিযোগে আবদুল হাকিম মাস্টারের নামে তিনি ঝালকাঠির আদালতে মামলা দায়ের করেন। এরপরও প্রতিপক্ষরা জমি দখলের চেষ্টা অব্যাহত রাখায় আদালতে চলতি বছরের ২৭ জুন স্থিতাবস্থা বজায় রাখার আবেদন করেন তিনি। আদালত জমির ওপর স্থিতাবস্থা জারির নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করেই প্রতিপক্ষরা গত ২ অক্টোবর বিকেলে জমি দখল ও পাকা ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করেন। মোটা অঙ্কের টাকা ঘুষ নিয়ে জমি দখল ও ভবন নির্মাণের কাজে কাঁঠালিয়া থানার ওসি মো. জাহিদ হোসেন নিজেই দাঁড়িয়ে থেকে সহযোগিতা করছেন বলেও সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়।
এ ঘটনায় রাজমিস্ত্রি মো. আলম মীর গতকাল সোমবার ঝালকাঠির জেলা ও দায়রা জজ আদালতে কাঁঠালিয়া থানার ওসির নামে একটি নালিশি মামলা দায়ের করেন। জেলা ও দায়রা জজ রমণীরঞ্জন চাকমা আগামী ১৩ অক্টোবর শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে কাঁঠালিয়া থানার ওসি মো. জাহিদ হোসেন জানান, দুই পক্ষের মধ্যে যাতে সংঘর্ষ না বাধে এ জন্য তিনি পুলিশ নিয়ে সেখানে যান।