সেতুর রেলিং ভেঙে নদীতে পড়া প্রাইভেট কার উদ্ধার
মুন্সীগঞ্জের মুক্তারপুরে ষষ্ঠ বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতুর রেলিং ভেঙে ধলেশ্বরী নদীতে পড়ে যাওয়া প্রাইভেট কার উদ্ধার করা হয়েছে। ডুবুরিরা আজ শনিবার বেলা ৩টার দিকে দুর্ঘটনাকবলিত ওই প্রাইভেট কার উদ্ধার করে নদীর তীরে নিয়ে আসেন।
এদিকে প্রাইভেট কার উদ্ধার করতে পারলেও এখনো একজন নিখোঁজ রয়েছেন। প্রাইভেট কার উদ্ধার করেই উদ্ধারকাজ সমাপ্ত ঘোষণা করেছেন মুক্তারপুর নৌপুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মোশারফ হোসেন। তবে নদীতে নৌপুলিশের ট্রলার দিয়ে দুর্ঘটনাকবলিত এলাকায় টহল অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
এর আগে আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে দ্বিতীয় দফায় উদ্ধারকাজ শুরু করে ঢাকা সদরঘাট নৌ-সার্ভিসের ডুবুরিদল ও নারায়ণগঞ্জ বিআইডব্লিউটিএর ডুবুরিদল। সকাল ১০টার দিকে সেতুর পিলারের কাছে নদীর মধ্যে দুর্ঘটনাকবলিত প্রাইভেট কারের সন্ধান পায় তারা। তবে এর ভেতরে কোনো মৃতদেহ পাওয়া যায়নি বলে নিশ্চিত করেছেন ডুবুরিদলের মো. মাসুদ।
এদিকে দুর্ঘটনার সময় প্রাইভেট কারে চালকসহ অন্তত তিনজন ছিলেন বলে ধারণা করা হলেও প্রাইভেট কারের প্রকৃত চালক মোহাম্মদ রুবেল জানিয়েছেন, শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে দুর্ঘটনার সময় জালালউদ্দিন রুমি নামের একজন অদক্ষ চালক গাড়ি চালাচ্ছিলেন। পরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সেতুর রেলিং ভেঙে ধলেশ্বরী নদীতে প্রাইভেট কার নিয়ে পড়ে যান জালালউদ্দিন রুমি। এ সময় রুমি ছাড়া আর কেউ প্রাইভেট কারে ছিলেন না বলে জানান তিনি।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে রাতেই ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার তৎপরতা চালায়।
মুক্তারপুর নৌপুলিশ ফাঁড়ির এসআই মোশারফ হোসেন জানান, সেতুর পশ্চিম দিকের রেলিং ভেঙে প্রাইভেটকার ধলেশ্বরী নদীতে পড়ে ডুবে যায়। ঘটনার পর রাত ২টার সময় নদীর তলদেশ প্রায় ৬০ ফুট পানির গভীরে প্রাইভেট কারের বাম্পার পাওয়া যায়। পরে আজ সকাল সাড়ে ৯টায় দ্বিতীয় দফায় উদ্ধারকাজ শুরু হলে ১০টার দিকে প্রাইভেট কারটি শনাক্ত করেন ডুবুরিরা। তবে এ সময় নিখোঁজ জালালউদ্দিন রুমির সন্ধান পাওয়া যায়নি।