যুবলীগকর্মীর গম না কেনায় গুদাম কর্মকর্তাকে মারধর

রাজশাহীর তানোর উপজেলায় যুবলীগের এক কর্মীর কাছ থেকে নিম্নমানের গম না কেনায় তিনি খাদ্যগুদামের কর্মকর্তাকে মারধর করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
মারধরের শিকার তানোর খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মইনুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, যুবলীগের ওই কর্মী বাজার থেকে নিম্নমানের গম কিনে সরকারি গুদামে বিক্রি করতে এসেছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও বর্তমানে তানোর উপজেলা যুবলীগের কর্মী প্রভাষক রাকিবুল ইসলাম পাপুল আজ বুধবার দুপুরে নসিমনে করে ১৫ টন গম নিয়ে তানোর খাদ্যগুদামে যান। এসব গম নিম্নমানের হওয়ায় খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মইনুল ইসলাম তা কিনতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তবু রাকিবুল খাদ্যগুদাম কর্মকর্তাকে এসব গম কিনতে চাপ দিতে থাকেন। গুদাম কর্মকর্তা শেষ পর্যন্ত রাজি না হওয়ায় রাকিবুল বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তানোর যুবলীগের সাবেক সভাপতি ওহাব হোসেন লালু, যুবলীগ নেতা জুয়েল রানা, দেলোয়ার হোসেন, পঙ্কজসহ কয়েকজনকে ডেকে নিয়ে আসেন। এরপর রাকিবুলসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা গুদাম কর্মকর্তা মইনুল ইসলামকে চড়-থাপড় মারতে শুরু করেন। এ সময় তিনি দৌড়ে গুদামের মধ্যে আশ্রয় নেন। গুদামের শ্রমিকরা তাঁকে রক্ষা করেন।
এ ঘটনার পর ওই এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে তানোর থানার পুলিশ গুদাম এলাকায় গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
তানোর খাদ্যগুদামের কর্মকর্তা মইনুল ইসলাম বলেন, ‘যুবলীগের ওই কর্মীর আনা গমগুলো ছিল খুবই নিম্নমানের, যা কিনলে আমাকে জবাবদিহি করতে হতো। এ ছাড়া ওই গমগুলো বাজার থেকে কেনা ছিল। ফলে সেই গম কিনতে অস্বীকার করায় রাকিবুল ও তাঁর লোকজন আমাকে মারতে শুরু করেন।’
মারধরের কথা অস্বীকার করে রাকিবুল বলেন, ‘গমগুলো কেনার কথা বলে দুপুর থেকে আমাকে বসিয়ে রাখা হয়েছিল। কিন্তু পরে সেগুলো আর কিনতে রাজি হচ্ছিলেন না ওই গুদাম কর্মকর্তা। এ নিয়ে তাঁর সঙ্গে কিছু ধাক্কাধাক্কি ও কথাকাটাকাটি হয়েছে মাত্র।’
তানোরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনিরুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। সেখানে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। গুদাম কর্মকর্তা অভিযোগ দিলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’