সিরাজগঞ্জে যমুনার তীর রক্ষা বাঁধে ধস
শুস্ক মৌসুমের শুরুতে সিরাজগঞ্জে যমুনা নদী তীর রক্ষা বাঁধে ধস দেখা দিয়েছে। যমুনার পানি কমতে থাকায় ঘূর্ণাবর্তের কারণে বাঁধটির অন্তত ২০০ মিটার অংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বলছে, বাঁধের প্রায় ৫০ মিটার অংশে ধস নেমেছে। এদিকে নদী তীর রক্ষা বাঁধে ভাঙনের ফলে নদী পাড়ের মানুষের মাঝে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
গতকাল শনিবার গভীর রাত থেকে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার ছোনগাছা ইউপির পাঁচঠাকুরী পয়েন্টে এ ভাঙন শুরু হয়েছে। আজ রোববার বিকেল পর্যন্ত ভাঙন অব্যাহত থাকলেও পাউবোর কোনো কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে পৌঁছেনি বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছে।
স্থানীয়রা জানান, শনিবার রাত থেকেই ভাঙন শুরু হয়। এ সময় ভাঙনে বাঁশঝাড় ও গাছপালা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। ভাঙন রোধে বিকেল পর্যন্ত পাউবোর কোনো কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে আসেননি।
সিরাজগঞ্জ পাউবো সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালে নদী তীর রক্ষা প্রকল্পের এ ১৮ নম্বর প্যাকেজের ৫০০ মিটার সংস্কার কাজ শেষ হয়েছে। কাজ শেষ হওয়ার এক বছরের মাথায় বাঁধটির ২০০ মিটার অংশে ভাঙন দেখা দেয়। ওই ভাঙন সংস্কারের পর গত বন্যা ভালো ভাবে কেটে গেলেও শুষ্ক মৌসুমের শুরুতে আবারো ভাঙন দেখা দিয়েছে।
এ বিষয়ে পাউবোর সেকশন অফিসার (এসও) রনজিত কুমার সাহা বলেন, ২০১৪ সালে নদী তীর সংরক্ষণ কাজের ওই ১৮ নম্বর প্যাকেজটির কাজ শেষ হয়। ২০১৫ সালের বন্যায় বাঁধটিতে ভাঙন দেখা দেয়। ওই ভাঙন সংস্কারের পর চলতি বছর বন্যায় প্যাকেজটির কোনো অংশেই সমস্যা দেখা দেয়নি। কিন্তু পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে যমুনার ঘূর্ণাবর্তের কারণে পাঁচঠাকুড়ি এলাকায় আকস্মিক ভাঙন দেখা দিয়েছে। তবে এতে আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।
পাউবো কর্মকর্তা আরো জানান, ভাঙনের বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। সেখান থেকে টাস্কফোর্স সদস্যদের পাঠানো হলে তাঁদের অনুমতি সাপেক্ষেই জিওব্যাগ ডাম্পিং করা হবে।
সিরাজগঞ্জ পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ হাসান ইমাম বলেন, সদর ও কাজিপুর উপজেলার যমুনার ডান তীরে সাড়ে ৯০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন করে ডান তীর সংরক্ষণ প্রকল্প খুব শিগগিরই হাতে নেওয়া হচ্ছে। প্রকল্পটি আপাতত পরিকল্পনা দপ্তরে রয়েছে। প্রকল্পটি একনেকে পাস হওয়ার পর দ্রুত বাস্তবায়িত হলে সদর থেকে কাজিপুর উপজেলার ৩৪ কিলোমিটার অংশে ভাঙন নিয়ন্ত্রণ হবে।