পিন্টুর চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগের তদন্ত শুরু

সদ্য প্রয়াত বিএনপি নেতা নাসির উদ্দিন আহাম্মেদ পিন্টুর চিকিৎসায় রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অবহেলার অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার তদন্ত কমিটি কারাগারের সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলেছেন।
কমিটির সদস্যরা রাজশাহী বিভাগের ডিআইজি (প্রিজন) বজলুর রশিদ, রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার শফিকুল ইসলাম খান, জেলারসহ বেশ কয়েকজনকে পৃথকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন বলে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা এনটিভি অনলাইনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সূত্রটি জানায়, সকালে তদন্ত কমিটির প্রধান ঢাকা বিভাগের ডিআইজি (প্রিজন) গোলাম হায়দার, কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মিজানুর রহমান এবং ময়মনসিংহ কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার ইকবাল কবির চৌধুরী রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার কার্যালয়ের একটি কক্ষে বিভিন্ন কর্মকর্তা ও কারারক্ষীর সাথে কথা বলেন।
রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার শফিকুল ইসলাম খান এনটিভি অনলাইনকে জানান, বিএনপি নেতা পিন্টুর পরিবারের তোলা অভিযোগ খতিয়ে দেখতেই গত রোববার রাতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। পিন্টুর চিকিৎসায় কারা কর্তৃপক্ষের উদ্যোগ ও আন্তরিকতা, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা ও ময়নাতদন্তসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় তাঁরা খতিয়ে দেখবেন। তদন্ত কমিটি আগামী ৭ মে প্রতিবেদন দাখিল করবে।
সন্ধ্যায় যোগাযোগ করা হলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাছির উদ্দিন জানান, তদন্ত কমিটির সদস্যরা এখনো হাসপাতালে আসেননি।
গত রোববার দুপুরে হৃদরোগে আক্রান্ত হলে নাসির উদ্দিন আহাম্মেদ পিন্টুকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে হাসপাতালের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। চিকিৎসক জানান, হাসপাতালে আসার ২০ থেকে ৩০ মিনিট আগেই পিন্টু মারা গেছেন।
ময়নাতদন্ত শেষে ওই দিন রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে বিএনপি নেতা নাসির উদ্দিন আহাম্মেদ পিন্টুর লাশ গ্রহণ করেন তাঁর ছোট ভাই নাসিম উদ্দিন আহাম্মেদ রিন্টু। পরিবারের অভিযোগ, পিন্টুকে যথাযথ চিকিৎসা না দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। একই ধরনের অভিযোগ করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ তাঁর দলও।