মুন্সীগঞ্জে সালিশে বেত্রাঘাতের ঘটনায় মামলা
মুন্সীগঞ্জ শহরের কাছে বেত্রাঘাতে ২৩ শিক্ষার্থীকে আহত করার ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে আহত শিক্ষার্থী সবুজের বাবা আলাউদ্দিন বাদী হয়ে ২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন।
মামলার এজাহারভুক্ত তিনজনকে এরই মধ্যে আটক করেছে পুলিশ।
মুন্সীগঞ্জ সদর খানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইউনুচ জানান, ২৫ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে। তিনজনকে আটক করা হয়েছে।
সম্প্রতি নৌ-ভ্রমণে গিয়ে আরাফাত হোসেন নামের স্কুলছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় গতকাল মুন্সীগঞ্জের উপকণ্ঠে অবস্থিত বাগবাড়ী মসজিদ প্রাঙ্গণে গ্রাম্য সালিশ বসে। সালিশি বৈঠকে পঞ্চসার ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা নৌ-ভ্রমণে যাওয়া অপর ২৩ স্কুলছাত্রকে ২৫টি করে বেত্রাঘাত ও প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর নৌ-ভ্রমণে গিয়ে নিখোঁজ হয় বাগবাড়ী এলাকার নাসির উদ্দিনের ছেলে অষ্টম শ্রেণির ছাত্র আরাফাত। তিন দিন পর জেলার সিরাজদীখান উপজেলার দোসরপাড়া এলাকার ইছামতী নদীতে আরাফাতের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গ্রাম্য সালিশ বসে।
পঞ্চায়েত কমিটির সদস্য এবং চেয়ারম্যানের আস্থাভাজন বলে পরিচিত টিটু ও আরিফ শিক্ষার্থীদের ২৫টি করে বেত্রাঘাত করেন। বেত্রাঘাতে আহত শিক্ষার্থীদের পরে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
পঞ্চায়েত কমিটির প্রধান ও পঞ্চসার ইউপির চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা সাংবাদিকদের বলেন, পঞ্চায়েত কমিটি শিক্ষার্থীদের বিচার করে। ইউপি চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক সঞ্জয় পোদ্দার বলেন, তিনি ২১ জনকে চিকিৎসা দিয়েছেন, যাদের সবাই বাগবাড়ী এলাকার কিশোর। তাদের সবার শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। লাঠি দিয়ে আঘাত করা হতে পারে। আহত কিশোরদের কারো অবস্থাই আশঙ্কাজনক নয়।
মুন্সীগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ জায়েদুল আলম বলেন, সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।