সড়কে লেগুনা চলাচল বন্ধের দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে রাখা হয়। আজ শনিবার আধা ঘণ্টাব্যাপী ওই অবরোধ কর্মসূচি পালন করে স্থানীয় বাসমালিক ও শ্রমিকদের সংগঠন।

এ সময় ঈদুল আজহার ছুটি কাটিয়ে রাজধানী ঢাকায় ফেরা মানুষ অসহনীয় দুর্ভোগের শিকার হয়। সড়কে লেগুনা চলাচলে বাধা দেওয়ায় লেগুনার মালিক ও চালকরা হামলা করেন বলে অভিযোগ করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া লোকাল বাসমালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. নেয়ামত হুসেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর সংগঠন সড়ক অবরোধ করে বলে জানিয়েছেন তিনি।

 মো. নেয়ামত হুসেন জানান, হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও ঢাকা-সিলেট মহসড়কের আশুগঞ্জ-মাধবপুর, আশুগঞ্জ-ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সরাইল-ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়কে অবাধে লেগুনা চলাচল করছে।

নেয়ামত হুসেন বলেন, ‘আজ শনিবার বেলা ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া লোকাল বাসমালিক সমিতির লোকজন ও আমি নিজে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার কুট্টাপাড়া মোড়ে হাইওয়ে রোডে হাইওয়ের পুলিশসহ লেগুনা চলাচলে বাধা দেই। এ সময় লেগুনার নেতা আরব আলী, মাখন ও লিটনের নেতৃত্বে ২৫-৩০ জন লোক আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা করে আমাদের বেধড়ক মারধর করতে থাকে। এতে লোকাল বাসমালিক সমিতির নেতা আবদুল আওয়াল, শাহাদাত হোসেনসহ অন্তত ছয়-সাতজন আহত হন।’ এ ঘটনায় তিনিও আহত হয়েছেন বলেন জানান নেয়ামত।

এ ঘটনার প্রতিবাদে বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আশুগঞ্জ ও সরাইল উপজেলার কুট্টাপাড়া মোড়ে সড়ক অবরোধ করে লোকাল বাসমালিক সমিতি।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন হাইওয়ে পুলিশের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (সিনিয়র এএসপি) শৈলেন চাকমা। তিনি জানান, হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পরে বেলা ১২টায় আশুগঞ্জ ও কুট্টাপাড়ার রোড অবরোধ প্রত্যাহার করে নেয় লোকাল বাসমালিক সমিতি লোকজন। এ ব্যাপারে হাইওয়ের সিনিয়র এএসপি শৈলেন চাকমা বলেন, ‘লোকাল বাসমালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. নেয়ামত হুসেনের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে তারা সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার করে।’

আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এর সুষ্ঠু বিচার না পেলে আরো কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নেয়ামত হুসেন।