পাটুরিয়া ঘাটে ঢাকাফেরত মানুষের ভিড়, দীর্ঘ যানজট
ঈদ শেষ করে ঢাকাগামী মানুষের ভিড় শুরু হয়েছে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়াঘাটে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার যাত্রীরা ফেরি ও লঞ্চ পার হয়ে আসছেন পাটুরিয়ায়।
কর্মস্থলে ফিরতে থাকা মানুষের ভিড়ে শনিবার সকাল থেকেই ঘাট এলাকায় যাত্রীর চাপ বাড়তে থাকে। সবচেয়ে বেশি যাত্রী আসছে লঞ্চে চড়ে।
নদী পার হয়ে পাটুরিয়াঘাটে এসে যাত্রীদের দুর্ভোগ না থাকলেও দুর্ভোগ রয়েছে দৌলতদিয়া প্রান্তে। নদীতে প্রবল স্রোত আর দৌলতদিয়ার চারটি ঘাটের মধ্যে একটি বন্ধ থাকায় ফেরি পারাপারে সময় বেশি লাগছে। দৌলতদিয়ায় প্রতিটি যানবাহনকে ফেরিতে চড়তে দুই থেকে তিন ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে। পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে কয়েকশ যানবাহনও।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয়ের সহকারী ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মহিউদ্দিন রাসেল জানান, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ছোট-বড় ১৮টির মধ্যে ১৫টি ফেরি চলাচল করছে। নদীতে স্রোত বেশি থাকায় পাটুরিয়া থেকে যানবাহন বোঝাই করে ফেরিগুলোর দৌলতদিয়া ঘাটে পৌঁছাতে দ্বিগুণ সময় লাগছে। এ ছাড়া ঈদে বাড়তি যানবাহন ফেরি পারের জন্য আসায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।’
বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) শফিকুর রহমান জানান, দৌলতদিয়ার চারটি ঘাটের মধ্যে ১ ও ৪ নম্বর ঘাট সচল রয়েছে। ২ নম্বর ঘাটে তীব্র স্রোত থাকায় ফেরি ভিড়তে পারছে না। ৩ নম্বর ঘাটের র্যাম্প পানিতে ওঠা-নামা করায় বন্ধ রয়েছে। এ কারণে কার্যত বন্ধ রয়েছে ২ ও ৩ নম্বর ঘাট।
দৌলতদিয়া ঘাটে বাস, ট্রাকসহ বিভিন্ন ধরনের চার শতাধিক যানবাহন ফেরি পারাপারের অপেক্ষায় আছে।
পাটুরিয়া ফেরিঘাটে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক মো. আনোয়ার হোসেন জানান, ঘাটে যানবাহনের চাপ আছে। বাস, ট্রাক ও ছোট যানবাহন অস্থায়ী ডিভাইডার দিয়ে নির্দিষ্ট লেনে রাখা হয়েছে। এ কারণে কোনো যানবাহন আগে যেতে লেন ভাঙতে পারছে না।