পঞ্চগড়-ঢাকা পথে আন্তনগর ট্রেন চালুর দাবি
পঞ্চগড় থেকে ঢাকা পর্যন্ত অবিলম্বে আন্তনগর ট্রেন সার্ভিস চালুর দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে পঞ্চগড় নাগরিক কমিটি।
আজ শনিবার দুপুরে পঞ্চগড় প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। এর আগে গত বৃহস্পতিবার পঞ্চগড় থেকে আন্তনগর ট্রেন চালুর দাবি জানিয়ে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে পঞ্চগড় নাগরিক কমিটি।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৩ সালের ৩০ জানুয়ারি পঞ্চগড় চিনিকল মাঠে আয়োজিত জনসভায় পঞ্চগড় থেকে পার্বতীপুর পর্যন্ত ১৪২ কিলোমিটার মিটারগেজ রেলপথকে আধুনিকায়ন ও ডুয়েলগেজে রূপান্তর কাজের উদ্বোধন করেন। এতে রেল মন্ত্রণালয় ৯৮২ কোটি টাকা ব্যয় করে। নির্মাণকাজ শেষ হলে পঞ্চগড় থেকে আন্তনগর ট্রেন সার্ভিস চালুর ঘোষণা দেন। এ বছরের শুরুর দিকে নির্মাণকাজ শেষ হয়। নতুন ডুয়েলগেজ লাইনে চলতি মাসের ১ তারিখ থেকে দিনাজপুর থেকে ঢাকা পর্যন্ত পথে ট্রেন সার্ভিস উদ্বোধন করা হয়। পঞ্চগড় থেকে ঢাকাপথে ট্রেন সার্ভিস চালু না হওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েন পঞ্চগড়বাসী।
আন্তনগর ট্রেন চালু হলে উন্নয়নের নতুন সম্ভাবনায় যুক্ত হবে প্রান্তিক এই জেলার লাখ লাখ মানুষ। যাতায়াতে দুর্ভোগ কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মালামাল পরিবহনে বৈপ্লবিক পরিবর্তন হবে।
সংবাদ সম্মেলনে পঞ্চগড় নাগরিক কমিটির সভাপতি বশিরুল আলম প্রধান, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এরশাদ হোসেন সরকার, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার মির্জা আবুল কালাম দুলাল, জেলা পরিষদের প্রশাসক অ্যাডভোকেট আবু বকর ছিদ্দিক, জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবু সালেক, জেলা সিপিবির সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য এম এ হান্নান, জেলা নাট্য সমিতির সভাপতি মিজানুর রহমান, নজরুল পাঠাগারের সাধারণ সম্পাদক মখলেছুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য দেন।
বাংলাদেশ রেলওয়ের লালমনিরহাট ডিভিশনের ব্যবস্থাপক নাজমুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, ‘পঞ্চগড়-ঢাকা পথে আন্তনগর ট্রেন চালুর জন্য আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছি। নির্দেশনা পেলে যেকোনো মুহূর্তে আন্তনগর ট্রেন চালু করা সম্ভব হবে।’
পঞ্চগড় নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক এরশাদ হোসেন সরকার বলেন, ‘ঢাকা-পঞ্চগড় আন্তনগর ট্রেন চালু পঞ্চগড়বাসীর প্রাণের দাবি। প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি দ্রুত বাস্তবায়নসহ ভবিষ্যতে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর পর্যন্ত রেললাইন সম্প্রসারণের দাবি জানাই। অবিলম্বে আন্তনগর ট্রেন চালু না হলে নাগরিক কমিটি ঈদের পর মানববন্ধন, অবরোধ, অনশনসহ বৃহত্তর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করবে।’